শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৫৩ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরের পেঁয়াজের বীজ যাচ্ছে সারাদেশে

ডেস্ক রিপোর্ট : শুভ্র ও সবুজের মিশেলে পেঁয়াজের ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন। ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাঠের পর মাঠ এখন পেঁয়াজের বীজের এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। কয়েকটি এলাকায় ক্ষেতের পাশেই গড়ে ওঠা ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও সারাদেশের পেঁয়াজের বীজের চাহিদা মেটাতে চলতি মৌসুমে প্রস্তুত হচ্ছে ফরিদপুরের কৃষকের মাঠ। কৃষক ও সংশ্নিষ্টদের দাবি, এ বীজ চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাই পেঁয়াজের বীজের চাষ ফরিদপুরে অব্যাহত রাখতে সরকারের আরও পৃষ্ঠপোষকতা আশা করছেন কৃষকরা। বীজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকের মুখে ফুটবে স্বস্তির হাসি।

ফরিদপুরের পেঁয়াজের বীজের খ্যাতি দেশজুড়ে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ফরিদপুরের কৃষকরা দেশের ৭৫ শতাংশ পেঁয়াজ বীজের চাহিদা পূরণ করে আসছেন। এ বছরও এই বীজের পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের চাষিরা এ বীজকে কালো সোনা হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। তাই ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার কৃষকের মাঠে তিন হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পেঁয়াজ বীজ। তাহিরপুরী বীজ থেকে লাগানো এ পেঁয়াজ আবারও মাঠ থেকে বীজ হয়ে কৃষকের ঘরে আসবে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে। কৃষকদের প্রত্যাশা, এ মৌসুমে ২০০ টন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারবেন তারা, যা গত তিন বছরের গড় ফলনকে ছাড়িয়ে যাবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের পেঁয়াজ বীজচাষি বক্কার খান বলেন, এ বছর ২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করছি। আশা করছি, ভালো মানের বীজ উৎপাদন হবে। একই গ্রামের জলিল মোল্লা বলেন, এ অঞ্চলের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ করে। কিন্তু বিএডিসি এবার আগের মতো বীজ সংগ্রহ করবে না বলে জানিয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিএডিসি ও বিভিন্ন ব্যাংক যদি আমাদের আরও বেশি সহায়তা করে, তাহলে ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষ আরও বেশি বীজ উৎপাদন করতে পারবে। এতে সরকারকে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ বীজ আমদানিতে নির্ভর করতে হবে না।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, এ বীজ উৎপাদন করে রবি মৌসুমে চাষিরা অধিক মুনাফা করেন। এ কারণে এ ফসলকে কালো সোনা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি জানান, কৃষি বিভাগ জেলা পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে চাষিদের নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণ দেয়। সূত্র : সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়