নূর মাজিদ: সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) পার্লামেন্ট বৈঠকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ইইউ নেতারা। যুক্তরাজ্যে আশ্রিত সাবেক রুশ এজেন্ট সের্গেই ক্রিসপাল এবং তার কন্যা ইউলিয়ার উপর বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট হামলায় রুশ সম্পৃক্ততার অভিযোগে এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি সংস্থাটির একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথা জানায়।
এদিকে এই মন্ত্যব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রালয় যুক্তরাজ্যের ভুমিকা ও প্রভাবকেই দায়ী করেছে। যুক্তরাজ্য তার প্রভাব কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে বলেই জানিয়েছেন তারা। রাশিয়ার অভিযোগ মিথ্যে অজুহাতে ‘রাশিয়া বিরোধী’ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
ইতোপূর্বে, ইইউ নেতারা রাশিয়া ইইউ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার বিষয়েও ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন।
ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুক্তরাজ্যের ভূমিতে ‘নার্ভ এজেন্ট’ হামলাকে ইউরোপের সার্বভৌমত্তের লঙ্ঘন বলেই উল্লেখ করেছিলেন। এই ইস্যুতে রাশিয়াকে দায়ী করে নেয়া লন্ডনের পদক্ষেপকেই সমর্থন দিয়ে যাবে ফ্রান্স বলেই তিনি জানান।
জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মারকেল বলেছেন, ব্রিটেনের পদক্ষেপকে অনুসরণ বেশ কিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র তাদের দেশ কূটনৈতিকের ছদ্মবেশে আসা সকল রুশ গুপ্তচরকে বহিষ্কার করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।
এর আগে ‘নার্ভ এজেন্ট’ হামলার ঘটনায় ব্রিটেন রুশ কূটনৈতিকদের বহিষ্কার করা হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়াও ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনৈতিককে বহিষ্কার করে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব বরিস জনসন শুক্রবারে করা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘বহিষ্কৃত ব্রিটিশ কূটনৈতিকেরা নিরাপদেই দেশে ফিরে এসেছেন’
ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্প জানিয়েছেন, নিজ দেশ রুশ কূটনৈতিকদের বহিস্কারের ব্যাপারে ইইউ সদস্য দেশগুলির নিজস্ব ব্যাপার। এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :