রফিক আহমেদ : জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করেই সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল নামে। সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে জাতীয় পার্টি ও জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে দলে দলে সমবেত হতে থাকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী উদ্যানে। সকাল ১০ টার আগেই সারাদেশের পাশাপাশি রাজধানীসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে সবুজ রংয়ের গেঞ্জি ও টুপি পড়ে লাঙ্গল নিয়ে বাবলার হাজার হাজার অনুসারী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নান্দনিক সাজে সজ্জিত হয়ে বিশাল মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলে পুরো উদ্যান জুড়েই উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
এর আগে সকাল নয়টা থেকেই শ্যামপুর কদমতলি থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বাবলার অনুসারীরা রাজধানীর মুক্তাঙ্গণে সমবেত হয়। প্রায় শতাধিক মিছিল আসে বাবলার নির্বাচনী এলাকা থেকে। হাজারো নেতাকর্মীর কাঁধে কাঁধে লাঙ্গল, হাজার হাজার রং বেরংয়ের ফেস্টুন, এরশাদ বাবলার বিশাল আকৃতির ছবি, ব্যান্ড পার্টি, বিশাল আকিৃতির জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বেলা সাড়ে ১০ টার দিয়ে প্রায় প্রায় ১৫ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মী নিয়ে বাবলার মিছিল মুক্তাঙ্গণ থেকে রওনা দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সুজন দে, শেখ মাসুক রহমান, শ্যামপুর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাওসার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লা।
মিছিলের অগ্রভাগ যখন শিশু পার্কের সামনে তখন পেছনের ভাগ ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। এর আগে সকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-১ ও তার স্ত্রী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রত্মা আমিন হাওলাদারের নির্বাচনী এলাকা বরিশাল-৬ আসন থেকে লঞ্চে করে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মী সদর ঘাটে এসে পৌঁছায়। বিশাল মিছিল সহকারে সকাল ৯ টার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে হাওলাদার ও তার স্ত্রীর অনুসারীরা মঞ্চের অগ্রভাগে অবস্থান নেন।
এছাড়া সকাল দশটার দিকে সোনরাগাঁওয়ের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেকাকর্মীর ব্শিাল মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে।
আপনার মতামত লিখুন :