শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০১৮, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৮, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজও তাড়িয়ে বেড়ায় সেই ভয়

ডেস্ক রিপোর্ট : জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের এক বছর হলো। গত বছরের ২৪ মার্চ সিলেটের শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে জঙ্গি নিধনে পুলিশ-সোয়াত ব্যর্থ হলে দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে। সেনা কমান্ডোরা ভবনে আটকে পড়া ৭৮ জন বাসিন্দাকে অক্ষত উদ্ধার করেন।

অভিযানে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ৭ জন। নিহত হয় চার জঙ্গিও। সেই ভয়াবহতা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় স্বজনদের।

সিলেটের শিববাড়ি এলাকার পাঁচতলা আতিয়া মহল ভবনের মানুষের সকালের ঘুম ভঙ্গে বোমার শব্দে। বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চালালেও নিরাপত্তা বাহিনীর নির্দেশে ঘরে আটকে থাকতে হয় বাসিন্দাদের। তাদের পাশের ফ্লোরেই অবস্থান জঙ্গিদের। এভাবে গড়ায় সকাল-দুপুর-রাত। পুলিশ-র‌্যাবের পর আসে সোয়াত, কিন্তু আটকে পড়া কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

পরদিন ২৫ মার্চ সকালে সেনাবাহিনী এসে প্রথমেই আটকে পড়া বাসিন্দাদের নিরাপদে উদ্ধার করে। সেদিন বেঁচে যাওয়া ২৭ পরিবারের মধ্যে ছিলেন শায়লার পরিবার। ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়নে তিনি।

তিনি বলেন, 'ঘুম থেকে উঠে আমার কাছে মনে হচ্ছিলো বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। আমি তো আর বুঝছি না যে, জঙ্গি আছে নিচে। পরে বারান্দায় বের হয়ে দেখি পুলিশ চার দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। আমার ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা। আমি সারাদিন দোকানে কাটাই। সন্ধ্যার পর তাড়াতাড়ি ফিরে আসি ওদের কাছে। সবসময় ভয়ে থাকি, আবার কি বিপদ ঘটে।'

ভবনের বাসিন্দাদের উদ্ধারের পর শুরু হয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। অপারেশন চলে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ জঙ্গি বিরোধী এই অভিযান শেষে ৪ জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়।

অপারেশন টোয়াইলাইট চলাকালে জঙ্গিরা আতিয়া মহল থেকে মাত্র ২শ’ গজ দূরে বোমা হামলা চালায়। সেই হামলায় নিহত হন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আবুল কালাম আজাদসহ দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ও চার জন সাধারণ মানুষ।

জঙ্গি হামলায় নিহত পরিবারগুলো আজও খুঁজে বেড়ান স্বজনদের।

নিহত অপুর মা সুলতানা আক্তার বলেন, 'অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে সে কৃতিত্বের সঙ্গে উন্নীত হয়েছিলো। মা হিসেবে এই পর্যন্ত আমি কিভাবে নিয়ে গেলাম সেটা তো বলার মতো না।'

ঘটনার এক বছরেও চার্জশিট গঠন হয়নি। এমনকি মর্জিনা ছাড়া অন্য তিন জঙ্গির পরিচয় শনাক্ত হয়নি আজও।

সিলেট বিভাগ পিবিআই'র বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, 'সব পরীক্ষা-নিরীক্ষাই আমরা করেছি যাতে করে মূল জঙ্গিদের শনাক্ত করা যায়। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য পিবিআই, সিটি, গোয়েন্দা-সবাই কাজ করছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই আমরা ভালো একটি ফল দেখাতে পারবো।'

জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ-র‌্যাব ছাড়া অন্য চারজনের দু’জন ছাত্রলীগকর্মী। ছাত্রলীগের দু’জনের পরিবার ১০লাখ টাকা করে অনুদান পেলেও বাকি দু’জন কিছুই পায়নি। ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোও পায়নি কোন সহায়তা। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়