ইলিয়াছ রিপন, মিরসরাই: প্রতিটি জাতিকে স্বাধীনতার পথ দেখাতে একজন বড় মাপের নেতা থাকেন। তারা তাদের সর্বস্ব এবং জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বাধীনতাকামী জনগণের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমেরিকার ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন, রাশিয়ার লেনিন, চীনের মাও জেদং, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, ভিয়েতনামের হো চি মিন এবং বাংলাদেশের ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
‘৬৬-এর ছয় দফা’, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান’ এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলার মানুষকে শোষণ ও নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। বাংলার মানুষকে উন্নত জীবন গড়তে সাহায্য করেছিলেন। চট্টগ্রামের মিরসরাই স্বাধীনতা মেলার ৮ম দিন আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেছেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বাধীনতা মেলা উদ্যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আতাউর রহমান। মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. বেলালের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হাকিম, দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিহির কান্তি নাথ, গিয়াস উদ্দিন, নুরুল করিম, উপজেল স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান।
আলোচনার পূর্বে সন্ধ্যায় স্বাধীনতা মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় চরশরৎ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক মুসলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়। রাতের বিশেষ আয়োজনে উদ্যাপন পরিষদের মহাসচিব কবির নিজামীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে তারকা শিল্পী পাখি ও সুজন বাউল স্টেজে সংগীত পরিবেশন করে।
আপনার মতামত লিখুন :