জান্নাতুল ফেরদৌসী: নিয়মনীতি না মেনে টাঙ্গাইলের সখিপুরের বনাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে শতশত ইটভাটা। অধিকাংশ ইটভাটার নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। নিয়মনীতি না মেনে প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে বন ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ফসলি জমি, ঘনবসতি ও বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় ইটভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না প্রভাবশালীরা। তবে, উচ্চ আদালতের স্থিতি আদেশের কারণে অনুমোদনহীন ভাটা বন্ধে নিরুপায় পরিবেশ অধিদপ্তর। অবশ্য জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলার ২শ' ৫৩টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৯২টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ফসলি জমির মাটি কেটে ইট তৈরি করা হচ্ছে এতে জমিতে গর্ত হচ্ছে। এর ফলে অনেক জমি ভেঙে যাচ্ছে। বনের মাঝখানে ইটভাটা থাকায় পরিবেশ ক্ষতির মুখে পড়ছে।
টাঙ্গাইলে বেলার গবেষণা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, অনুমোদনহীন ইটাভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়া হলে, ঐতিহ্যবাহী শাল গজারি বনটা বিলীন হয়ে যাবে। কৌশলে উচ্চ আদালত থেকে স্থিতি আদেশ নিয়ে নিয়ম না মেনেই ইটভাটা পরিচালনা করছেন ভাটা মালিকরা।
ইটভাটা মালিকরা জানান, হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে ইটভাটা চালাচ্ছি। সব কিছুই নিয়মের মধ্যে চালানো যায় না।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মুজাহেদুল ইসলাম বলেন, এই ইটভাটাটি বনের বিরুদ্ধে হয়েছে। এই সত্যটা জানতে পেরেছি। আর বর্তমানে হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট চলছে। অনুসন্ধানে কোন ইটভাটার তথ্য জানতে পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :