মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা : ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ, আর এই ইলম দ্বারা উদ্দেশ্য কোরআন হাদীসের ইলম, যে ইলমের রুহানিয়াত অর্জনের মাধ্যমে মানুষ সোনায় রুপান্তরিত হয়, শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হয়, অমানুষগুলো মানুষ হয়। অহংকারী নিরহংকার হয়। যার মাধ্যমে আল্লাহ এবং তার রাসুলের পরিচয় লাভ করা যায়। জান্নাতের রাস্তায় চলতে পারে। ইলম আল্লাহর একটা বড় নিয়ামত যে কাউকেই আল্লাহ এই ইলম দান করেন না। ইলমের মাধ্যমে মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
হযরত কাআব বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করলো এই নিয়তে, যার মাধ্যমে সে অন্য আলেমের উপর গর্ব করবে, মূর্খদের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হবে এবং মানুষদের কে নিজের প্রতি আকর্ষণ করবে এমন নিয়তে ইলম অর্জনকারী কে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামে নিপে করবেন! (তিরমিযী)
এই হাদিসের মধ্যে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ব্যতিত অন্য কোন নিয়তে ইলম অর্জন করলো সে জাহান্নামে যাবে! কারন ইলম হলো আল্লাহর নুর এবং এটা আল্লাহর অগণিত সিফাতের মধ্য থেকে বড় একটি গুণ, ইলম অর্জনের মাধ্যমে মানুষের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ পরিবর্তন আসে। ইলম রাসুল (সা.) এর মিরাছ বা সম্পদ। যেমন হাদিসে আছে রাসুল (সা.) বলেন উলামায়ে কেরাম নবীগণের উত্তরসূরী। এই ইলমের দ্বারাই মানুষের মনোজগত আলোকিত হয়, বাহ্যিক উন্নতি ও আত্মিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধশালী জীবন উপভোগ করতে পারে। আর ইলম অর্জন করতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং দীন প্রচারের জন্য। যদি এ সকল উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে, যেমন সে আলেম ওলামাদের সাথে তর্ক বিতর্ক করবে, এবং নিজের ইলম নিয়ে অহংকার করবে। অন্যদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে, তাহলে এ ইলমই তার জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে।
আর যদি সে ইলম অর্জন করে সবসময় হকের কথা বলবে, দীন প্রচার করবে। বাতিলের অযৌক্তিক যুক্তি খন্ডন করবে। আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করবে তাহলে এ ইলমই তার জন্য জান্নাতে যাওয়ার কারণ হবে। আল্লাহ পাক সহীহ নিয়তে উপকারী ইলম অর্জনের তাওফিক দান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :