শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১০:০০ দুপুর
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি

ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুর রক্ষা ও এর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ ২০১২ সালে শুরু হলেও গত পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। বরং যেটুকু কাজ হয়েছে, তাও অযতেœ পড়ে আছে।
নগরীর সদর রোডের পূর্বপাশে শতবর্ষের সাক্ষী হয়ে আছেন এই কৃত্রিম জলাশয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, খ্রিস্টধর্মের প্রচারক ডা. উইলিয়াম কেরির নাতি উইলিয়াম কেরি জুনিয়র তৎকালীন বাকেরগঞ্জ (বরিশালের পূর্ব নাম) এসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় ভূস্বামিনী জিন্নাত বিবির সেবাযতেœ তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে জিন্নাত বিবিকে তিনি বিবি জেনেট নাম দিয়ে পালিত কন্যার মর্যাদা দেন।

ওই সময় স্থানীয়দের জলকষ্ট নিরসনে জিন্নাত বিবি একটি পুকুর খননের জন্য উইলিয়াম কেরি জুনিয়রের সহায়তা চান। সে অনুসারে নগরীর সদর রোডের পূর্বপাশে ১৮৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০০ ফুট প্রস্থের এই পুকুর খনন শুরু হয়। ১৯০৮ সালে পুকুরটির খনন কাজ শেষ হয়।

নিঃসন্তান জিন্নাত বিবি পুকুরটির পশ্চিম পাড়ে বসবাস করতেন। ওই এলাকার নাম ছিল বিবির মহল্লা। তাই পুকুরটিও কালক্রমে বিবির পুকুর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরন পুকুরটি রক্ষা ও এর সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেন। পুকুরের পাশেই করা হয় উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্র, যা মেয়র হিরনের মৃত্যুর পর তা ‘হিরন স্কয়ার’ নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে এটি নগরীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন বিকাল হলেই নগরবাসী অবসর কাটানোর জন্য পুকুর পাড় ও তৎসংলগ্ন হিরন স্কয়ারে জড়ো হন।
পুকুরটি শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় ও যাতায়াত সুবিধা ভালো থাকার কারণে অনেক রাত পর্যন্ত এখানে মানুষের উপস্থিতি থাকে। পুকুরের পাশে বাহারি রকমের মুখরোচক খাবারও পাওয়া যায়।

গত ২০১২ সালের ২৭ মে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ও গ্রামীণফোনের অর্থায়নে বিবির পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। এর আওতায় রয়েছে পুকুরের চারপাশে ঝুলন্ত পার্ক, বসার বেঞ্চ, অত্যাধুনিক গ্রিল ও পুকুরের শোভাবর্ধনের জন্য লাইটিং করা, পুকুরের ইতিহাস সংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন, পুকুর ঘিরে বৃক্ষরোপণ, উন্নত ওয়াকওয়ে ও রঙিন ফোয়ারা স্থাপন। এক কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু অনেক কিছুই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। যেটুকুও করা হয়েছে তার অনেকটাই ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। বহুদিন ধরেই পুকুরের মধ্যে স্থাপিত রঙিন আলোর ফোয়ারাটি অচল পড়ে আছে। যাচ্ছেতাই বিলবোর্ড স্থাপনের কারণে পুকুরটির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
বরিশাল নাগরিক পরিষদের সম্পাদক এনায়েত হোসেন বলেন, বিসিসি পুকুর সংলগ্ন এলাকায় ওয়াই-ফাই জোনের ব্যবস্থা করায় তরুণদের ভিড় বেড়েছে। একসময় এ পুকুরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কীর্তনখোলা নদীর যোগাযোগ থাকায় নিয়মিত জোয়ার-ভাটায় এর পানি ভালো থাকত। এ ব্যবস্থাটি আবারও চালু করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সূত্র : আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়