মোহাম্মদ রকিব হোসেন : গেল বছরের টিন্ডার ডেটিং অ্যাপস এ বিশ্বের ‘সবচেয়ে যোগ্য ব্যাচেলর’ খেতাব পাওয়া উত্তর আফ্রিকার শেষ সাদা পুরুষ গণ্ডারটিকে বাঁচানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা ব্যর্থ হলো গত সোমবার। তবে এই প্রজাতিকে বিশ্বে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে এবার বিজ্ঞানীরা।এরই অংশ হিসেবে ৯০ লাখ ডলারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা।-সিএনএন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সাইট।
২০০৯ সালে চেক রিপাবলিক থেকে কেনিয়ায় এসেছিল এই সাদা গণ্ডারটি। নাম দেয়া হল ‘সুদান’। তারপর থেকে আফ্রিকার পরিবেশে তার ঔরসে জন্ম নেয় কন্যা ‘নাযিন’। এরপর আসে নাতনি ‘ফাতু’। ফাতুর বয়স এখন ১৭। মৃত্যুর আগে সুদানের শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে তার বংশ রক্ষার জন্য। ইতোমধ্যে নাযিন ও ফাতুর সাথে ইন্টার ক্রসিং-এর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। সুদানের শুক্রানুর প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া সেই সাথে প্রাকৃতিকভাবেই নাযিন ও ফাতুর সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতাই এর কারণ।
সুদানের মৃত্যুর পর তাই এবার তার এ জাত তৈরিতে বিলিয়ন ডলারের বাজেট নিয়ে নতুন যুদ্ধে নামতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। আফ্রিকান ওয়াইল্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ মারুথি জানান, ওঠঋ (আইভিএফ) পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। এই পদ্ধতিতে আফ্রিকার উত্তরের সাদা গণ্ডারদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হবে প্রজননক্ষম একাধিক নারী গণ্ডারদের। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের পুরুষদের থেকে আলাদা করে রাখা হবে। যাতে তারা অন্য কারো গর্ভধারণ না করে। এরপর তাদের গর্ভে দেয়া হবে সুদানের স্পার্ম। আর সেই সারোগেট মায়ের গর্ভে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠবে নতুন ভ্রুণ । জন্ম নেবে সুদানের প্রজন্ম। পৃথিবী সেই জন্মোৎসবে মেতে উঠবে আবার, ভুলে যাবে সুদানের চলে যাওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :