ররিন আকরাম : এক বছর আগেই মসুলে মারা গিয়েছিল ৩৯ জন ভারতীয়। জানিয়েছেন ইরাকের ফরেন্সিক বিভাগ প্রধান ডঃ জাইদ আলি আব্বাস। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ফোনে তিনি এই খবর জানান।
ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ। যার বিভাগীয় প্রধান ডঃ জাইদ আলি আব্বাস। তিনিই ৩৯ জন ভারতীয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। ইরাকের মর্টাস ফাউন্ডেশন বাদুউশ থেকে মৃতদেহগুলি নিয়ে আসে। এরপর ভারত থেকে পাঠানো আত্মীয়দের নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়। বেশিরভাগ মৃতদেহের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
বাগদাদ থেকে ফোনে ডঃ জাইস আলি আব্বাস জানান, মৃতদেহ গুলি কঙ্কাল অবস্থায় আমাদের কাছে আসে। হাড় ছাড়া কিছু ছিল না। শরীরে মাংসের লেশ মাত্র ছিল না। দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি তারা এক বছর আগেই মারা গিয়েছিল।
একই দাবি করেছিল হরজিৎ মাসিহ। ২০১৪ সালে অপহৃত ৪০ জন ভারতীয়ের মধ্যে সে ছিল একজন। কিন্তু বরাত জোরে আইসিস ডেরা থেকে পালিয়ে কোনরকমে বেঁচে দেশে ফিরে আসে। সেই প্রথম দাবি করেছিল, ৩৯ জন ভারতীয় মারা গিয়েছে। তার চোখের সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল বাকিদের।
ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই প্রমাণ হয় অপহৃত ৩৯ জন ভারতীয়রা সকলে মারা গিয়েছে। ইরাক থেকে সেই রিপোর্ট পাঠানোর পরই মঙ্গলবার ভারতের রাজ্যসভায় সেই কথা ঘোষণা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। প্রশ্ন ওঠে এক বছর আগেই যদি তারা মারা যায় তাহলে সরকার এতদিন কেন অন্ধকারে রেখেছিল সবাইকে?
সুষমার সাফ জবাব, তারা ৬ মাস আগে অথবা দু’বছর আগেই মারা যাক না কেন, প্রমাণ ছাড়া তাদের মৃত ঘোষণা করা ‘পাপ’৷ তাছাড়া জঙ্গিদের হাত থেকে মসুলকে মুক্ত করা না পর্যন্ত সার্চ অপারেশন শুরু করা যায়নি। মসুল জঙ্গি মুক্ত হওয়ার পরই তাদের তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু হয়।
এদিকে জানা গিয়েছে, মৃতদেহগুলি আগামী সপ্তাহে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং আগামী সপ্তাহে রওনা দেবেন ইরাক। ডঃ আব্বাসি জানিয়েছেন, সব দেহগুলির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এখন সার্টিফিকেট সংক্রান্ত কিছু কাজ বাকি আছে। সূত্র : কলকাতা ২৪
আপনার মতামত লিখুন :