নূর মাজিদ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সফররত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্পের আমন্ত্রণে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন সালমান।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের কেবিনেট রুমে ট্রাম্প এবং বিন সালমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অংকের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়, পারস্য উপসাগরীয় কূটনৈতিক সমস্যা, ইরানকে মোকাবেলা করা সহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস'এর বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ পরিবেশে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স সহ ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইরান, আইএস সহ আঞ্চলিক হুমকিগুলো মোকাবেলায় বিন সালমানের গৃহীত পদক্ষেপগুলির প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। এসময় তিনি সৌদি বাদশাহ যোগ্য উত্তরসূরি নির্বাচন করেছেন বলেই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, নিজের ভাতিজা আলওয়ালিদ বিন তালালের পরিবর্তে নিজ পুত্র বিন সালমানকে পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে মনোনীত করে সৌদি বাদশাহ যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এসময় সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘দুই দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ্য। এই সম্পর্ক আরো সামনে এগিয়ে নিতেই আমাদের আজকের এই বৈঠক’
সৌদি আরবকে প্রচন্ড সম্পদশালী ও ধনী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে এসময় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আরো বেশি সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। সৌদি সরকারের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রয়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ হাজার উঁচু মানের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জবাবে বিন সালমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার দেশ ইতিমধ্যেই ২০০ বিলিয়ন ডলার নতুন করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে যা শেষ পর্যন্ত ৪০০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্ক ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ সময়, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের ৮০ বছরের কূটনীতিক সম্পর্ককে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।আল-জাজিরা/ভয়েস অব আমেরিকা
আপনার মতামত লিখুন :