আসিফুজ্জামান পৃথিল: সদস্যদের ক্রমাগত হৈচৈ এ আজও মূলতবি হয়ে গেছে লোকসভা অধিবেশন। ফলে টানা চতুর্থ দিনের মতো উত্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে ভারতে ক্ষমতাশীন এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। দুই রাজনৈতিক দল এআইএডিএমকে এবং টিআরএস এর সদস্যদের চিৎকারের ফলে অনাস্থা উত্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ সদস্যদের ভোট গুনতে ব্যর্থ হন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন!
১৬ মার্চ লোকসভায় অন্ধ্র প্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা না দেয়ায় ৩ জন এমপি এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসেন। টিডিপির পক্ষে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন ঠোটা নারাসিমহাম এবং জয়দেব গাল্লা, আর ওয়াইআরএস কংগ্রেসের পক্ষে উত্থাপন করেন ওয়াই ভি শুভা রেড্ডি। এরপর হট্টগোলের কারণে টানা চতুর্থ দিনের মতো এই প্রস্তাব পাশের জন্য উত্থাপনে ব্যর্থ হলেন তারা।
সকালে অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই তা এক ঘন্টার জন্য মূলতবি করতে বাধ্য হন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ১২ টায় অধিবেশন আবার শুরু হলে এআইএডিএমকে, টিডিপি এবং টিআরএস সদস্যরা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এআইএডিএমকের প্রধান দাবী হলো আগের পরিমানেই কাবেরী নদীর পানি বন্টন আর টিআরএস তেলেঙ্গানার জন্য উচ্চ কোটার দাবীতে মুখর। এরই ফাঁকে বহিস্কৃত আরজেডি নেতা রাজেশ রঞ্জনকে পাপ্পু যাদবের সাথে বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেবার দাবীতে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
সুমিত্রা মহাজন অনাস্থা ভোট উত্থাপনের জন্য সদস্যদের হাত তুলতে বলেন। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামপন্থী সদস্যরা হাত তোলেন। কিন্তু স্পিকার ঘোষণা করেন হট্টগোলের জন্য তিনি ভোট গননা করতে পারছেন না বলে জানান। এরপরেই তিনি অধিবেশন সেদিনের জন্য মূলতবী ঘোষণা করেন। ভারতের লোকসভায় কোন অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য ন্যূনতম ৫০টি ভোটের প্রয়োজন। - ইয়ন নিউজ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আপনার মতামত লিখুন :