শিরোনাম
◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৬:৪২ সকাল
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৬:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপি কেন কারলাইল খপ্পড়ে ?

কামাল হোসেন : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইল। সেই কারলাইন এখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বেগম জিয়াকে ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ অপবাদ যখন শুনতে হয় তখন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কেন যুদ্ধাপরাধের মত মামলার একজন আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হল তা নিয়ে দলটির নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিশাল প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিজ্ঞমহলের ধারণা কার্যত কারলাইল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় তেমন কিছু করতে পারবেন না। তিনি বাংলাদেশে আসতে চাইলে এবং তা না পারলে হয়ত এ ইস্যু নিয়ে বিএনপি রাজনীতির মাঠ সরগরম করবে মাত্র। তাতে রাজনীতিতে টেকসই কোনো ফায়দা বিএনপি পাবে না। উল্টো বিএনপির প্রতিপক্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর আইনজীবী হিসেবে লর্ড কারলাইলের দ্বারস্থ কেন খালেদাকে হতে হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখার পর লর্ড কারলাইল বাংলাদেশ সরকার বরাবর একটি চিঠিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ওই আদালতের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার সুপারিশ করেন। তিনি লেখেন, ‘মামলাটি অসাঞ্জস্যতায় পরিপূর্ণ, একপেশে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপপূর্ণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো মান না মেনেই প্রতিষ্ঠিত।’

এবারও খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা নিয়ে তিনি হয়ত এমনি কোনো মন্তব্য দেবেন। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মিডিয়াকে বলেছেন, যাকে পয়সা দিলেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, সে রকম একজনকেই বিএনপি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালেও মীর কাসেম আলীর রায়ের পর যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কথা বলেছিলেন। এটি তাদের ভাড়া করা লোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘বারবারই বলছি, বিএনপি কখনই বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না। তারা সব সময়ই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলেছে। এমনকি যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর তারা তাদের দলীয় বৈঠকে শোক প্রস্তাব পাস করে। এই ব্রিটিশ আইনজীবীও তখন ওই বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। সে কারণে এ রকম একজনকেই ভাড়া করেছে। আমার মনে হয়, ওখানে বসে ফেরারি আসামি তারেক রহমানই এগুলো করছে।’

লর্ডকারলাইলকে দলীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে এ নিয়ে স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গে সেভাবে আলোচনা হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সঙ্গে খালেদা জিয়ার মামলার সম্পর্ক নেই। যতটুকু শুনেছি, বিএনপি মামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে চায়। সেদিক দিয়ে লর্ড কারলাইলের একটি প্রভাব ও পরিচিতি আছে।
লর্ড কারলাইলের প্রভাব আন্তর্জাতিক বিশ্বে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে না দুর্নীতি নিয়ে সে সম্পর্কে বিএনপির চিন্তাভাবনা জরুরি ছিল। বিএনপির এও চিন্তা করা উচিত ছিল কার্লাইল ইতিমধ্যে বাংলাদেশে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। গণজাগরণ মঞ্চের উত্তাল সময়েও (২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর) যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি না দিতে আহ্বান জানান এই লর্ড। তিনি খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলায় পরামর্শ ও সহযোগিতা করবেন নাকি বিএনপির জন্যে বুমেরাং হয়ে উঠবেন তা হয়ত সময় বলে দেবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়