সাঈদা মুনীর: ইরাকে অপহৃত ৩৮ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক অঙ্গণ। যার জেরে বিড়ম্বনার মধ্যে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এই ঘোষণার পর চর্তুদিক থেকে আক্রমণ এবং সমালোচনার মধ্যে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার প্রশ্নে বার বার সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করলেও লোকসভায় সুষমা স্বরাজকে এ নিয়ে কিছু বলতেই দেয়নি কংগ্রেস। শশী তারুরের মতো কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, ওই ৩৯ জন বেঁচে রয়েছেন বলে গত সাড়ে তিন বছর ধরে কেন বার বার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে সরকার? মৃতদের আত্মীয়েরা অভিযোগ তুলেছেন, সংসদে এমন মর্মান্তিক খবর শোনানোর আগে সরকারের উচিত ছিল তাঁদের খবর দেওয়া।
বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে সেই সময়ে ইরাকে আইএসের হাত থেকে পালিয়ে আসা হরজিত মাসিহ আজ ফের মুখ খুলে বলেছেন, আমি ক্রমাগত বলে এসেছি যে আইএসের হাতে বাকিরা খুন হয়েছেন। আজ প্রমাণ হল আমি সত্যি বলেছিলাম।
রাহুল গাঁন্ধী তাঁর টুইটে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জানিয়েছেন, ‘‘প্রিয়জন ঘরে ফিরে আসবেন এই আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিল এই পরিবারগুলি। গভীর শোক জানাচ্ছি তাঁদের।’’ বিরোধী শিবির এ কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে যে ২০১৫ সালে সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন, ৩৯ জন নিরাপদে আছেন।
ভারতীয়দের মৃত্যু নিয়ে সুষমার সাংবাদিক বৈঠক কার্যত পরিণত হয় রাজনৈতিক আক্রমণে। দীর্ঘ সময় নিয়ে সুষমা আজ কংগ্রেসের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘স্পিকার বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ায় নেতৃত্বে কংগ্রেস হাঙ্গামা করে গিয়েছে।
অবশেষে ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সরকার মেনে নেয় নিখোঁজ ভারতীয়রা সকলে মৃত৷
সুষমা স্বরাজ জানান, মৃতদেহগুলি দেশে ফিরিয়ে আনার পর বিশেষ বিমানে প্রথমে অমৃতসর, পাটনা ও পশ্চিমবঙ্গে নিহতদের পরিবারের হাতে দেহগুলি তুলে দেওয়া হবে৷ সূত্র: আনন্দবাজার
আপনার মতামত লিখুন :