শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৪:০৫ সকাল
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৪:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা প্রথা দেশকে মেধাশূন্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে

মো. সোহাগ হোসেন : কোটা সংস্কারের জন্য সারা দেশে একটা আন্দোলন হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়, এটার কোন যুক্তি আছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬% কোটার ভিত্তিতে নেয়া হচ্ছে। আর ৪৪% মেধার ভিত্তিতে। আমি এটার তীব্র বিরোধীতা করি। আসলে এ কোটা প্রথাটার জন্য দেশ মেধাশূণ্যের দিকে চলে যাচ্ছে। এর প্রভাব কিন্তু আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। মেধার অভাবে বিদেশী ক্যাডার গুলোতে যে গুলো যাচ্ছে, বৈদেশিক কুটনীতিক মিশনে আমরা কিন্তু অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। কারণ, আমাদের বার্গেনিং পাওয়ার খুবই কম। আমরা সব সময়ই শুনি, গার্মেন্টস খাতে আমাদের বার্গেনিং পাওয়ার নাই। কেন নাই ? ফরেন ক্যাডারে বা প্রশাসন ক্যাডারে কোটায় যদি চান্স পায়, তাহলে এই জায়গা গুলোয় দায়িত্ব পালন করবে কারা?

আমি এমনও মনে করতেছি না যে, যারা কোটার ভিত্তিতে যাচ্ছে তারা পড়ালেখা করতেছে না। কারণ, লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত তাদের যাওয়া লাগতেছে। এ অবস্থানে যাওয়ার পরেই তারা একটা সুযোগ পায়। কিন্তু তারপরও কিছু জিনিস থাকে। যেমন: প্রশাসন ক্যাডারে মোটামুটি ২৫৬ টার মত সিট আছে। কিন্তু সেখানে যদি ১৫০ এর মত সিটই কোটায় চলে যায়, তাহলে মেধাবীদের জন্য কি থাকল ? আমি মনে করি যে, ৫% বা ১০% কোটা রাখা উচিত। সব থেকে বড় কথা হল, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটাটা একদম কম করা দরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান তো আর কোটার মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া হোক, সেটা আমরা সকলেই চাই। এটার জন্য সরকার ইচ্ছা করলে আলাদা একটা প্রকল্প তৈরি করতে পারে। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে একটা বাৎসরিক বোনাসের ব্যবস্থা করতে পারে।

ওদের জন্য আলাদা একটা ফান্ড করে দিতে পারে। কিন্তু দেশের উন্নতিতে ভুমিকা পালন করবে যারা, সেখানে যদি মেধাহীন লোক ঢুকে যায়, তাহলে তো দেশেরই ক্ষতি সেটা। আর নারীদের কথা যদি বলি, নারীরা অনেকটা এগিয়ে আছে। নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে সফলতা অর্জনে সক্ষম। সুতরাং নারীদের জন্য আলাদা করে কোটার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে প্রতিবন্ধী কোটাটা থাকা দরকার। এরা যেহেতু জন্মগত ভাবেই পিছিয়ে আছে, সুতরাং ওদের জন্য এটুকু সহায়তা থাকা উচিত। সব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, কোটা প্রথাটার সংস্কার দরকার।

পরিচিতি : শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/মতামত গ্রহণ: এইচ. এম. মেহেদী/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়