শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষক আদালতের প্রস্তাব ফলপ্রসূ হতে পারে: মেনন

মতিনুজ্জামান মিটু : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষক আদালতের প্রস্তাব ফলপ্রসূ হতে পারে। মঙ্গলবার (২০মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও এর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘গ্রামীণ কৃষকের বর্তমান অবস্থা এবং অক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক সেমিনাওে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি, এএলআরডি এবং এইচডিআরসি যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আদিবাসী ককাস-এর আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং নেদারল্যান্ড দূতাবাস ঢাকা-এর ডেপুটি হেড অব মিশন এরোইন ষ্টিঘস। সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবির। প্যানেল আলোচকের বক্তব্য দেন এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা এবং বাংলাদেশ কৃষক সমিতি’র কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটি’র সদস্য লাকী আক্তার। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।

রাশেদ খান মেনন বলেন, কৃষি শ্রমের মজুরি আইন তৈরি হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। কৃষি জমি কমে যাচ্ছে এবং নগরায়ণ হচ্ছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আরো প্রকট হতে পারে। কৃষি সংস্কার ছাড়া স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন সম্ভব নয়। চুক্তিভিত্তিক চাষ তামাক চাষ জমির মালিকদের কারণেই প্রচলন হয়। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আন্দোলনও হয়েছে। কৃষক আদালত গঠনের প্রস্তাব দিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মালিক, কৃষক এবং উৎপাদনের মধ্যে অনেক জটিলতা রয়েছে। এই সব জটিলতা দুরিকরণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে ‘কৃষি আদালত’ তৈরি করতে হবে। এখানে সার্বিক সমাধানের জন্য আইনি ব্যবস্থা থাকবে। সরকারকে কৃষিপণ্য ক্রয়ের নীতি ঘোষণা করতে হবে।

গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে ড. আবুল বারকাত বলেন, যারা জমি লিজ নিয়ে চাষ করছে তারা ৫০.৪ ভাগ জমিতে ধান উৎপাদন করতে পারছে। ধান চাষ ছাড়াও জমিগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে তামাক চাষ করা হয়। তামাক চাষে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে। এতে জমি অনাবদি হয়ে পড়ে থাকছে। এক পর্যায়ে তারা জমিগুলো বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এতে দেশের প্রায় ২ ভাগ জমি অনুর্বর হয়ে যাচ্ছে। যা খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমি মালিকরা তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে অগ্রীম টাকা নিয়ে জমি বর্গা দিচ্ছে। এত অনেক প্রান্তিক কৃষক অগ্রীম টাকা দিয়ে জমি বর্গা নিতে না পেরে পেশা থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। এই সঙ্গে পত্তনী ও চুক্তি চাষের কারণে নারী অংশ গ্রহণ কমে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়