শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মালদ্বীপের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হচ্ছে বৃহস্পতিবার

ইমরুল শাহেদ : প্রায় ৪৫ দিন পর বৃহস্পতিবার থেকে মালদ্বীপের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। তবে মালদ্বীপের একজন উর্ধ্বতন কূটনীতিক বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মওমুন আবদুল গাইয়ুম এবং প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে প্রথমে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রুলিং বাতিল করা। কারণ রুলিংয়ে বলা হয়েছিল, বিরোধী দলের ৯ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে ইয়ামিন সরকারকে তাদের মুক্তি দিতে বলা হয়েছিল। এরপর প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়িয়ে দেন।

জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইয়ামিন প্রশাসন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাওমুন আবদুল গাইয়ুম, প্রধান ব্চিারপতি, অপর একজন সুপ্রিম কোর্ট বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসককে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তারা সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা সকলেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সোমবার শ্রীলংকার ফরেন করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়ন ফোরামকে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত মোহামেদ হোসেইন শরীফ বলেছেন, ‘যদি তেমন কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে তাহলে বৃহস্পতিবারই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার বড় ধরনের সহিংসতার সৃষ্টি না হলে আর জরুরি অবস্থা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। বাড়ানো ৩০ দিনের মেয়াদ ২২ মার্চ শেষ হবে।’

শরীফ বলেছেন, প্রধান বিচারপতি আবদুল্লা সাইদ এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলী হামিদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ প্রসিকিউটর জেনারেলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ঘুষের অভিযোগ সাবেক প্রেসিডেন্ট গাইয়ুম এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসক হাসান সাইদের বিরুদ্ধেও আনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এবং নিশ্চিত হয়েই বলছি এই চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
মালদ্বীপের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, জরুরি অবস্থা চলাকালে শত শত লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু শরীফ বলেছেন, মাত্র ৩৮ জনকে আটক রাখা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মালদ্বীপের পুলিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ১৩৯ জন বিরোধী দলীয় বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ জরুরি অবস্থার মধ্যে তারা আইনভঙ্গের চেষ্টা করেছিল এবং তারা রাজধানী মালের নিরাপত্তা জোনে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে।
মানবাধিকার গ্রুপের এ্যামনেস্টি ইন্টন্যাশনাল বলেছে, মালদ্বীপ সরকার জরুরি অবস্থাকে দমন, সুশীল সমাজের লোকজনকে টার্গেট, বিচারক এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়