শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১১:২২ দুপুর
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১১:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬৭ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া রেখে ব্যবসায়ীর পলাতক

ডেস্ক রিপোর্ট : ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ না করেই সপরিবারে বিদেশে পালিয়েছেন চট্টগ্রামের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ী। আনোয়ারুল হক চৌধুরী নামে এ ব্যবসায়ীর কাছে ব্যাংকটির পাওনা প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। পাওনা আদায়ে ব্যাংকটি মামলা করলেও গ্রাহক পলাতক থাকায় মামলার অগ্রগতি শ্লথ। এছাড়া ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্যও অনেক কম। ফলে ঋণের এ অর্থ আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য পরিবহন ব্যবসা করতেন সার্ক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক চৌধুরী। ২০০৬ সালের দিকে পরিবহনের পাশাপাশি কেমিক্যাল আমদানি শুরু করেন এ ব্যবসায়ী। ওই সময়ই ন্যাশনাল ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার সঙ্গে লেনদেন শুরু তার। এরপর ২০০৭ ও ২০০৮ সালের মধ্যে কেমিক্যাল আমদানির নামে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন তিনি। প্রথম দিকে কিছু কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করলেও ২০১০ সালের পর কিস্তি পরিশোধ বন্ধ করে দেন।

ঋণের টাকা ফেরত পেতে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ২০১২ সালে আদালতে যায় ব্যাংক। এর পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান এ ব্যবসায়ী। বর্তমানে এ খেলাপি গ্রাহক সপরিবারে মালয়েশিয়ায় বাস করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় সার্ক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক চৌধুরী, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানা ও ভাবি রাশেদা বেগমকে বিবাদী করা হয়েছে। এর মধ্যে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী পলাতক বলে তথ্য রয়েছে আদালতের কাছে। বর্তমানে দেশে অবস্থান করা রাশেদা বেগমের জেরা চলছে।

ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ ঋণের বিপরীতে সার্ক ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন নগরীর ফকিরহাট এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবন ও লালখান বাজার এলাকায় একটি তিনতলা ভবন বন্ধক রয়েছে। এছাড়া ফেনীর মিঠানালা এলাকার কিছু জায়গা মর্টগেজ হিসেবে রয়েছে। চলমান মামলার রায় ব্যাংকের পক্ষে এলে আইনি পন্থায় এসব সম্পত্তি বিক্রি করা হবে। তবে এসব সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাওনা টাকার প্রায় অর্ধেক।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদত হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ব্যাংকঋণ নিয়ে কেমিক্যাল আমদানি করেন সার্ক ইন্টারন্যাশনালের এ স্বত্বাধিকারী। কিন্তু আমদানিকৃত কেমিক্যাল বিক্রি না করে বেশি লাভের আশায় তা দীর্ঘদিন গুদামজাত করে রাখেন। এ সময়ের মধ্যে ওই পণ্যের দাম না বেড়ে উল্টো কমে যায়। এতে বড় ধরনের লোকসান হয় প্রতিষ্ঠানটির। এরপর ব্যাংকের কোনো টাকাই আর পরিশোধ করেননি এ ব্যবসায়ী।

এ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য বিক্রি করতে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে বারবার তাগাদা দেন তৎকালীন ব্যাংক কর্মকর্তা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে বেশি মুনাফা করতে দীর্ঘদিন পণ্য গুদামজাত করেন ওই ব্যবসায়ী। পরে ওই পণ্য বিক্রিতে বড় লোকসান হওয়ায় ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করেননি তিনি। ব্যাংকের টাকা পরিশোধে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা ঋণ পরিশোধে কোনো সহযোগিতা করছেন না। ফলে আমাদের আইনি পথে এগোতে হচ্ছে। মামলার অন্যতম দুই বিবাদী দেশের বাইরে অবস্থান করায় মামলাও ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।

আনোয়ারুল হকের এক আত্মীয় জানান, প্রথম দিকে পরিবহন ব্যবসা করতেন আনোয়ার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক পণ্য পরিবহনে ট্রাক ও লরি ভাড়া দেয়াই ছিল তার প্রধান ব্যবসা। এরপর পরিবহনের সঙ্গে যোগ করেন কেমিক্যাল আমদানির ব্যবসা। শুরুর দিকে কয়েকটি চালানে ভালো মুনাফা করেন। কিন্তু ২০০৯ সালের দিকে একটি চালানে বড় ধরনের লোকসান হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে ব্যাংক মামলা করলে সপরিবারে মালয়েশিয়া পালিয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়