শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০১৮, ০৮:০৪ সকাল
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৮, ০৮:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তনু হত্যার ২ বছরেও মামলার চার্জশিট জমা হয়নি

তারিকুল ইসলাম শিবলী, কুমিল্লা: কুমিল্লার বহুল আলোচিত সোহাগী জাহান তনু হত্যার ২ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ মঙ্গলবার।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে খুন হয় তনু। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী তনুর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার দুই বছরেও আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পানি মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। দীর্ঘ ২ বছরেও শনাক্ত হয়নি তনুর খুনিরা। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারটিও স্পষ্ট হয়নি আজও। পর দিন ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি কুমিল্লা কোতয়ালী থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে পুলিশ জেলা গোয়েন্দ বিভাগের (ডিবি’র) কাছে হস্তান্তর করে মামলাটি। এরপর ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তারাই তদন্ত করছে। ঘটনা তদন্তে র‌্যাব ও পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে।

তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তেও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করতে পারেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট।

২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নমুনা নমুনা সংগ্রহ করে এর ডিএনএ পরীক্ষা করে। এতে ৩ জন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা- এ নিয়েও গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেনি সিআইডি।

তনু হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে তৃতীয়বারের মতো ক্যান্টনম্যান্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ সিইও মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর আরো দু’একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তনু হত্যা মামলা তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ পিপিএম এর নেতত্বাধীন তদন্ত দল।

এদিকে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা সিআইডি কার্যালয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, চাচাতো বোন লাইজু ও চাচাতো ভাই মিনহাজকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ গতকাল ১৯ মার্চ সোমবার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কুমিল্লা কার্যালয়ে গেলে মামলার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।

এদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আয়েশা বেগম শিরিন এবং কুমিল্লা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ২১ মার্চ তনুর হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সংগঠন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তীতে সারা দেশব্যাপী আন্দোলনে রূপ নেয় এটি। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে চলে বিক্ষোভ।

এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হওয়াতে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে। তবে সপ্তাহখানেক পরে সেনা সদরদপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তারাও তনুর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেয়া হয়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করলেও তনুর ময়নাতদন্ত কিংবা ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়