খালেকুজ্জামান : নারী নির্যাতনের যে হাজার হাজার মামলা তার মধ্যে মাত্র শতকরা তিন ভাগের শাস্তির বিধান হয়েছে। বিশেষ করে তদন্ত, সাক্ষী এগুলোর যে ঘাটতি এবং পুলিশ বা প্রশাসনের যে গাফিলতি, এর কারণে অনেক অপরাধী অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। আর হচ্ছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, সেটা র্যাব বা পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বীকার করছে। কিন্তু বাস্তবে বন্ধুকযুদ্ধ বা ক্রস ফায়ার যে গুলোই বলুক, এগুলো পরিকল্পিত ভাবে একটা ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড।
ফলে শুধু মাত্র অস্বীকার করলেই অপরাধ মোচন হয় না। এটা আইনানুগ শাসনের বিচ্যুতি অথবা এক ধরণের স্বেচ্চাচারী শাসন ব্যবস্থা যদি চলে, তাহলে তার ফলাফল হিসেবে এ ধরণের জিনিস গুলো আবির্ভূত হয়। এজন্য আমরা বলছি, সঠিক তদন্তের ব্যাপারে যে গাফিলতি আছে এবং টাকা পয়সা লেনদেনে যে মামলাগুলো তার বেশির ভাগই দরিদ্র মানুষ এর শিকার হয়।
তারা একবার না, বার বার অত্যাচারিত হয়। কিন্তু তারা সঠিক বিচার পায় না। বরং তারা এ মামলা মোকদ্দমায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং হয়রানির শিকার হয়। পরবর্তীকালে আরো বেশি ক্ষতির সম্মূখিন হয়। অথচ যারা অপরাধ করে, সাধারণ মানুষদের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে, তারা ক্ষমতার জোড়ে এবং টাকার জোড়ে পার পেয়ে যায়।
সব কিছু যে অরাজক পরিস্থিতি, এ ধরণের আইনের শাসন যদি বার বার লঙ্ঘিত হতে থাকে, নির্যাতনের মাত্রা যদি বাড়তে থাকে তাহলে মানবতা, মূল্যবোধ ধ্বংস হতে থাকবে।
এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং সভ্যতা পরিপন্থি। আসলে মানব সম্পদের উন্নয়ন ছাড়া কোন উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ/মতামত গ্রহণ : এইচ. এম. মেহেদী/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :