রবিন আকরাম: প্রেমেদাসায় সাজঘর (ড্রেসিং রুম) ভাঙচুর নিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী ক্রিকেটার সনৎ জয়াসুরিয়া। টাইগারদের আচরণের নিন্দা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে 'থার্ড ক্লাস' বলতেও কুণ্ঠা বোধ করেননি তিনি।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রেমেদাসায় বাংলাদেশের সাজঘরের ছবি পোস্ট করে জয়াসুরিয়া লিখেছিলেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ের উল্লাসে যেভাবে সাজঘর ভাঙা হয়েছে তা কদর্য নিদর্শন। 'নিন্ম রুচির ব্যবহার' বলেও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। যদিও, পরে ওই টুইট ডিলিট করে দেন তিনি।
শুক্রবার ফাইনালে ওঠার মহারণে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ। দুই দলের কাছে ওই ম্যাচ ছিল 'কার্যত ডু অর ডাই'। জিতলে ফাইনালের টিকিট আর হারলেই ট্রফি না জিতে বাড়ি ফেরার যন্ত্রণা। সিরিজের শুরুতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হেরে প্রথম থেকেই কোণঠাসা ছিল শ্রীলঙ্কা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে সোনার লঙ্কা পুড়িয়ে বিজয় রথ এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া ছিল টাইগাররা। এই পটভূমিতেই ফাইনালে ওঠার মঞ্চে এগিয়েই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তাল কাটল ম্যাচের শেষ ওভারে।
৬ বলে ১২ রান। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে যা জলভাত। এমন পরিস্থিতি আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তেই চটে যান। নো বল সিগনাল দিলেও কেন তা ডাকা হল না? এই নিয়েই বিতর্কের শুরু। একটা সময় দল তুলে নেওয়ার কথাও বলেন সাকিব। যদিও মাহমুদউল্লাহের ছয়ে এক বল বাকি থাকতেই ফাইনালের রাস্তা পাকা করে ফেলেন মুশফিকুররা। এরপর 'নাগিন নাচে' অভিনব উল্লাসে মাতে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। এমনকী মাঠেও বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই দেশের খেলোয়াড়রা। খেলার শেষে দেখা যায় বাংলাদেশের সাজঘরের কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে রেয়েছে। বিজয় উল্লাসে অসাবধানতাবশত এই সাজঘর ভাঙাতে চটেন সনৎ জয়াসুরিয়া।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে তদন্ত করছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড। যদিও বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। তব এই ঘটনা ভুলে এগিয়ে যাওয়ার কথাই বলছেন সাকিব। সূত্র: জি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :