শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩১ দুপুর
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধান দু’দলের মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধি গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়

রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের ঐক্য ন্যাপের আহবায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই কোটির উর্ধ্বে দুর্নীতির মামলা, দন্ডিত ও কারারুদ্ধ থাকাকে কেন্দ্র করে প্রধান দু’দলে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব-শত্রুতা বৃদ্ধি নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়। সোমবার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি দলের নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি অপরাপর দলের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের পরিসর সংকোচন উদ্বেগজনকও বটে। সাম্প্রতিককালে পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি ছবি পরিস্থিতির পরিমাপক। একটি ছবিতে পুলিশ বিএনপি নেতার কণ্ঠনালী চেপে ধরেছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের লক্ষণ আক্রান্ত। দ্বিতীয় ছবিতে সরকারি দলের সম্মেলন ভণ্ডুলকারীদের তাণ্ডব থামাতে মন্ত্রীর হাতজোড় করার অসহায় চিত্রটি আইনের শাসনের দুর্বল দশার পরিমাপক।

ঐক্য ন্যাপের আহ্বায়ক বলেন, ক্ষমতার সাংবিধানিক মালিক জনগণকে কার্যকর মালিকে পরিণত করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে বদ্ধপরিকর হতে হবে। অন্যথায় জাতি নিক্ষিপ্ত হবে ‘গণহীন গণতন্ত্রে বা কর্তৃত্বপরায়ন দলতন্ত্র’-এর নিগড়ে। আর তাতে লাভবান হবে স্বাধীনতা বিরোধী দেশ ও সংবিধান বিরোধী অগণতান্ত্রিক অপশক্তিরা।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে গর্বিত আসন অর্জন, প্রায় এক দশকের স্থিতিশীল অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন যেমন সত্য, তেনমই অসত্য নয় ধনী-দরিদ্রের প্রকট বৈষম্য। যা জীবন যাত্রার মানের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেছে অশোভন বৈষম্য। এছাড়া ব্যাংক ডাকাত নামধারী ঋণ খেলাপীদের সোয়া লাখ কোটি টাকা খেলাপী ঋণের মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা অবলোপন করাটা সম্পূর্ন অনৈতিক। ব্যাংক অনিয়মের ১০ হাজার কোটি টাকা যা আত্মসাৎ করেছে ঋণ লুটেরারা। তা জনগণের করের টাকায় পরিশোধ করা সংবিধান ও আইন বিরুদ্ধ।

তিনি বলেন, লাগাতার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেলেঙ্কারীর মধ্যে ফুটে উঠেছে শিক্ষা সংকট। যেখানে পরীক্ষা ও ফলাফলের নির্ভরতার সঙ্গে দু’টি অপ্রয়োজনীয় পাবলিক পরীক্ষা থেকে শিক্ষাকে মুক্ত করে শ্রেণিকক্ষ নির্ভর করে তুলে ‘শিক্ষা বাঁচাও’ জাতীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রদায়িক সুপারিশ অনুযায়ী ১৮টি সংযুক্তি ও ১১ বিযুক্তি পাকিস্তানী ধারার শিক্ষাব্যবস্থাকে ফেরত আনার আত্মঘাতী ধারা ‘হুল্ট’ করে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ফিরিয়ে আনতে হবে।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, যে কৃষক জাতিকে দেয় খাদ্যনিরাপত্তা ও বৈদেশিক মুদ্রা, যে নারী শ্রমিকরা এনে দেয় সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা, যে প্রবাসী শ্রমিকরা রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে ষ্ফীত করে জাতীয় কোষাগার তারা কেন পাবে না বাঁচার মতো মজুরি? বাধ্যতামূলক রেশন সুবিধা, ছুটি, ব্যাংক ঋণ, শস্যবিমাসহ ফসলের ন্যায্যমূল্য? তিন ফসলী জমি অকৃষিখাতে ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ হবে না?

ঐক্য ন্যাপের আহ্বায়ক বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের উপর অব্যাহত উচ্ছেদ-অত্যাচার বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে স্থায়ী করে তুলছে। ২০ বছর কেটে গেলেও পার্বত্য শান্তি চুক্তি অবাস্তবায়িত থাকছে এবং অর্পিত সম্পত্তির খড়গাঘাতে সংখ্যালঘু জনগণের নিত্য আক্রান্তের ঘটনায় নির্বাচনী বছর স্বস্তিপূর্ণ হচ্ছে না ভুক্তভোগীদের কাছে। নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, লংগদুর ঘটনায় শাস্তি পায়নি দুষ্কৃতিকারীরা। পুনর্বাসিত হয়নি আক্রান্ত- ক্ষতিগ্রস্তরা।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক-নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রকৃত রেফারী হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সরকার হবে তার সহযোগী। নির্বাচনের পূর্বে জাতীয় সংসদ বাতিল অপরিহার্য। নির্বাচনী বছরে ২২টি জেলায় নতুন ডিসি, ১৫টি জেলায় নতুন এসপি নিয়োগ এবং সংসদ সদস্যদের জন্য তিনটি প্রকল্প পাশ করার নামে ‘বোনাস ব্যবস্থা’ আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়