জুয়েল আইচ : যাঁর দুটো হাতই নেই, আছাড় পাছাড় খেয়ে তাঁর তো চিৎকার করারই কথা। কিন্তু কাঁদলে কি তাঁর হাত গজাবে? কোনক্রমেই না।
কিন্তু হাত ছাড়া তিনজন তরুন তরুনীর সঙ্গে আমার ভাব হয়েছে। ওরা তিনজনই জিপিএ ৫ পেয়েছে।
ওদের একজন শুধু পা দিয়ে উঁচু নারকেল গাছ থেকে মুখে করে ডাব পেড়ে দা দিয়ে কেটে আমাকে আপ্যায়ন করেছে। মুখে তার ভূবন মোহিনী হাসি। আমার ম্যাজিক দেখে তার প্রতিদান সে দিতে পেরেছে।
মাবিয়া আক্তারের আনন্দের কান্না মনে পড়ে? দক্ষিণ এশিয় ভার উত্তোলনে সে স্বর্ণপদক বিজয়ী। সে এতই গরিব যে পুষ্টিহীন দেহে পান্তা ভাতের পানি কছলে ভারোত্তলন অনুশীলন করতো। সে ছিল সবার বিদ্রুপের পাত্রী।
বিশ্ববিখ্যাত কবি মিল্টন অন্ধ ছিলেন।
অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট বিজয় ! পাগল নাকি? লিভিয়া ব্রাডি নিশ্চিত মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের চূড়ায় একশোটা লাথি মেরে ফিরে এলেন। জ্যান্ত। তাজা। উৎফুল্ল।
সঙ্গীততো আমরা কান দিয়ে শুনি। বিশ্বের সেরা সুরস্রষ্টা বেঠোফেন কান কালা ছিলেন। পূর্ণ বধির।
হেলেন কেলার। যাঁর বিশ্ব মাতৃরূপী ছবিটি এখানে। তিনি ছিলেন অন্ধ। বধির। বোবা। এই অন্ধ-বধির-বোবা মানুষটি শুধু লেখকই ছিলেননা, ডক্টরেট করেছিলেন, বিশ্বময় শিশু অধিকারের জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
সোনারা, তোমাদের সব কষ্ট আমি বুঝি। সব যুক্তি মাথা পেতে নিই। কিন্তু আমি নিজে সাক্ষী; বিনয়ের সঙ্গে হাত জোড় করে বলছি; যা কিছুতেই আমি বিদ্রুপর পাত্র হয়েছি, যুদ্ধ করে করে সবগুলোতে আমি জয়ী হয়েছি।
তোমরাও জিতবে। শুধু শক্ত হাতে হাল ধরো। এটুকুই মিনতি আমার।
পরিচিতি : অসাধারণ জাদুশিল্পী/ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :