শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলু সবজি ও ফল রফতানিতে মানদণ্ড অনুসরণ হচ্ছে না

ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলোও বাংলাদেশ থেকে আলু, শাকসবজি ও ফলমূল রফতানির একটি সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু রফতানিকারকরা মানদণ্ড অনুসরণ না করায় এ বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। পণ্যে পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের উপস্থিতিসহ নানা কারণে বাড়ছে নন-কমপ্লায়েন্স অভিযোগ। এতে প্রতি বছর বাতিল হচ্ছে রফতানি চালান, কমছে রফতানি।

সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির কাছে দেয়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ থেকে ১০১৭ সাল পর্যন্ত সাত বছরে নন-কমপ্লায়েন্সের কারণে রফতানিকৃত শাকসবজির ৯০৮টি চালান বাতিল করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর মধ্যে ২০১১ সালে ১১৫, ২০১২ সালে ১৫৩, ২০১৩ সালে ১৪৪, ২০১৪ সালে ১৯৫, ২০১৫ সালে ১৪৭, ২০১৬ সালে ১১৭ এবং ২০১৭ সালে ৩৭টি চালান বাতিল হয়।

চালান বাতিলের পাশাপাশি রফতানি নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখিও হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যার ফলে প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে সবজি রফতানিও কমছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৮৭৮ টন শাকসবজি রফতানি হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৪৭০ টনে। পরের অর্থবছর রফতানি আরো কমে হয় ২৪ হাজার টন।

শাকসবজির মতো ফল রফতানিতেও মন্দা চলছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৯ হাজার ৫২২ টন ফল রফতানি হলেও ২০১৫-১৬ অর্থবছর রফতানি হয় ৫ হাজার ৭৯৭ টন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি আরো কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬০৪ টনে।

২০১৪ সালে রফতানিকৃত আলুতে ব্রাউন রুট ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হওয়ায় ২০১৫ সালে রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আাারোপ করে। ফলে আলু রফতানির পরিমাণও কমতে থাকে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৯৮৩ টন আলু রফতানি হয়। পরের অর্থবছরে রফতানি কমে হয় ৯০ হাজার ৪৯০ টন। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০ হাজার ২২৯ টন এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৫ হাজার ৬৫২ টন আলু রফতানি করে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় সবজি, ফলমূল ইত্যাদি রফতানি হয়ে থাকে। রফতানিকারকরা আমদানিকারক দেশের শর্তানুযায়ী পণ্য রফতানি করে থাকেন। আমদানিকারক দেশের কমপ্লায়েন্স ইস্যুগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা, তা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে থাকে উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কর্তৃপক্ষ।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ রফতানিকারক রফতানিযোগ্য কৃষিপণ্য নিজেরা উৎপাদন করেন না। খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন উপায়ে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করে তা রফতানি করে থাকেন তারা। কৃষিপণ্য উৎপাদনকারীরা সরাসরি রফতানি কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ায় তারা আমদানিকারক দেশের কমপ্লায়েন্স ইস্যুগুলো যথাযথভাবে অবহিত থাকেন না। ফলে আমদানিকারক দেশের অনেক শর্ত তারা অনুসরণ করেন না। আমদানিকারক দেশের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও রফতানি না হওয়ায় ইন্টারসেপশনের (রফতানি পণ্যে পোকামাকড়, রোগ-বালাই ইত্যাদি ধরা পড়া) সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানিও কমে যাচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে আলু, সবজি ও ফলমূলের নিম্নমুখী রফতানির কারণ পর্যালোচনা করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সবজি ও ফলমূল রফতানিতে নিম্নমুখী প্রবণতায় কমিটির বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশী কৃষিপণ্যের হারানো বাজার পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র : বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়