ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পরেও খোঁজ মেলেনি ব্যবসায়ী সজল চৌধুরীর। পরিবারের অভিযোগ ১১ মার্চ সন্ধ্যায় ডিবি পরিচয়ে ১০ থেকে ১২ জন লোক তুলে নিয়ে যায় তাকে। এ নিয়ে জিডি করতে গেলেও নেয়নি পুলিশ। এদিকে, ডিএমপি কমিশনার বলছেন, যথাযথ জায়গায় অভিযোগ করলে সজলের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তারা।
জাহাজ ভাঙা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সজল চৌধুরী স্কুল পড়ুয়া ছেলে আর মাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায়। পরিবারের অভিযোগ গেলো রোববার সন্ধ্যায় ডিবি পরিচয়ে একদল লোক বাসায় এসে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যায় তাকে। যাওয়ার সময় খুলে নিয়ে যায় নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ডিভাইসটিও।
শনিবার সজলের বাসায় গিয়ে দেখা যায় কেউ নেই সেখানে। বাসার গ্যারেজে এবং সামনের সড়কে পড়ে রয়েছে সজলের দুটি গাড়ি। বাসার সামনে দুটি নিরাপত্তা ক্যামেরা থাকলেও ফুটেজ সংরক্ষণের ডিভাইস খুলে নেয়ায় নেই সজলকে তুলে নেয়ার কোনো ছবি। ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায় নিরাপত্তা কর্মীর মুখে।
নিরাপত্তা কর্মী এমদাদ আলী বলেন, 'তারা কার্ড দেখিয়ে বললেন আমরা ডিবির লোক। তাদের সাথে পিস্তল দেখেছি। তারা আমাকে ভিডিও মেশিন দিতে বলছে। আমি জানিনা বললে আমার কোমরে লাথি মারছে।'
এদিকে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার জানান, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ী সজলকে তুলে নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তারা।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, 'যে কোনো অভিযোগ করলে, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করবো। এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।'
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ সাদা পোশাকে অভিযানে গেলেও সব সময় ডিবি লেখা জ্যাকেট পরা থাকে।
-সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :