ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: আজ ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। মুক্তিযুদ্ধের এই মহানায়ক ১৯২০ সালের এই দিনে ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত সেই শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।
শুক্রবার দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
তিনি আরো বলেন, আমি একটি বইয়ে তার বিভিন্ন বিষয়ে পড়ছিলাম। তো তিনি ৭ম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় থেকেই রাজনীতি করতেন। এবং তিনি সেই সময়ই জেলে গেছেন। আসলে একজন মানুষের রক্তে-মাংসেই রাজনীতি ছিলো। তাই তিনি এমন নেতা হতে পেরেছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে (এমওডব্লিউ) তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এমওডব্লিউ-তে এটাই প্রথম কোনো বাংলাদেশি দলিল, যা আনুষ্ঠানিক ও স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হবে।
শ্যামল দত্ত আরো বলেন, আসলে দিন যত যাচ্ছে তার মূল্য ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার দুইটি বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোচনামচা পড়ে আমরা তাকে আরো নতুন করে আবিষ্কার করছি।
আপনার মতামত লিখুন :