রুহুল অামিন : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সরকার হিটলারের কৌশল ব্যবহার করছে তারা মিথ্যাকে হাজার বার বলে জনগণের কান বারি করে মানুষকে বিশাস করতে বাধ্য করছে। সরকারের মন্ত্রিরা সকাল-বিকাল মিথ্যাচার করে মানুষ বিভ্রান্ত করছে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) অায়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দরা যাবেনা ছৌঁয়া যাবেন বলা যাবেনা কথা রক্ত দিয়ে পেলাম এমন সাধীনতা! নজরুল ক্ষোভের সাথে বলেন,
অামরা যে সপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সে সপ্ন এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হলো না অামাদের অাবার একসাথে যুদ্ধ করতে হবে। সবচেয়ে দুঃখ লাগে অামরা যে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম সেই শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবার গণতন্ত্র নষ্ট করেছে তাদের কারণে সাধীনতা অাজ হুমকির মুখে।
বিএনপির মরা গাঙ্গে অার জোয়ার অাসবে না অাওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কথা বিপরীতে নজরুল ইসলাম বলেন, অাপনার যে দলের একুশ বছর পর জোয়ার অাসতে পারে তাহলে বিএনপিরও অাসবে। অামরা এরশাদের বিরুদ্ধে নয় বছর অান্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছিলাম। অাপনাদের মত তো একুশ বছর অাপেক্ষা করতে হয়নি। অাজ নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন দিয়ে দেখেন না জনগণ কাকে ভোট দেয়, সুযোগ পেলে ভোট দিয়ে জনগণ কালই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অারেক মন্ত্রীরা বলে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অামরা (অাওয়ামী লীগ) রোহিঙ্গা হয়ে যাবো অারে কে বলছে অাপনার রোহিঙ্গা হয়ে যাবেন এত ভয় পান কেন? অাওয়ামী লীগ এখন নিজেরা নিজেরা বলাবলি করে, যে সম্পদ জোরাই ছেন বিএনপি ক্ষমতায় অাসলে তা ভোগ করতে পারবেন না। তাদের মনে এত ভয়, সরকারের মনে এত ভয় কেন?
ড্যাব সভায় বিএনপির অারেক নেতা হাবিব বলেন, এই সরকার অার কিছু দিন পর বলবে অাপনারা মোবাইলের মধ্যে অান্দোলন করেন সরকার এইও বলতে পারে যে অাপনার গভীর ঘুমের মধ্যে অান্দোলন করেন নাক টানার মধ্যমে। সরকার তামাশা করছে তামাশার একটা সিমা অাছে সেটাও সরকার ছাড়িয়ে গেছে।
অাজকে সরকার গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিৎকার করছে তারা নিজেরা ছাড়া কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না সরকার বিরোধী শক্তিগুলো মিছিল মিটিং করতে দেয় না। অাসল কথা হলো, সরকার গণতন্ত্রই বুঝেনা, ইতিহাস বলে অাওয়ামী লীগ অার গণতন্ত্র একসাথে যায় না।
খালেদা জিয়ার মামলার সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেন, অালীয়া মাদ্রাসার অস্থীয় কোর্ট থেকে নাজিম উদ্দীন রোডে কারাগারের দূরত্ব দেড়কিলোমিটার এইটুকু জায়গা ফাইল অাসতে পৌনের দিন লাগে অার কুমিল্লা থেকে নাজিম উদ্দীন রোডে কারাগারে ১১০ কিলোমিটার দূরত্ব অাসতে লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। প্রশাসনের অাচরণ সন্দেহ জনক অামরা বলতে চাই, এইদিন দিন নয় অারও দিন অাছে যার যা দায়িত্ব তা ঠিকঠাক পালন করে যান। জনগণের কাছে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :