জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণে অনেক অংক করতে হয় পাইলটদের। কারণ বিমানবন্দরটির দুইটি রুটেরই আশপাশ পর্বত দ্বারা বেষ্টিত। তাই বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পাইলটরাই অনুমোদন পান বিমান চালানোর। বৈরী ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সারা বিশ্বের পাইলটরা একটি এপ্রোচার্ড ব্যবহার করেন।
বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর। ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন অনুসরণ করলেও এটির ভৌগলিক অবস্থান মানসম্পন্ন নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে রানওয়ের উচ্চতা ৪ হাজার ৩শ’ ৮৯ ফুট। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৭ ফুট। অবতরণের জন্য উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী অংশটি ব্যবহার করেন বৈমানিকরাG
রানওয়ের জিরো টুর প্রতিকী অংশে নামতে অতিক্রম করতে হয় সিভালিক ও মহাভারত পর্বত অঞ্চল। প্রায় ২০ হাজার ফুট উপর থেকে ৯ মাইলের মধ্যে দ্রুত নিচে নামিয়ে আনতে হয় বিমান।
রানওয়ের অন্য অংশের প্রতিকী নাম টু জিরো। এই অংশের অবতরণ আরও কঠিন। ২৬ হাজার ফুট উচ্চতার শিশাপাংমা ও গৌরিশঙ্কর পর্বতের মাঝ দিয়ে অতিক্রম করতে হয় একটি গিরি খাদ ও নদী। অতন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জরুরি ছাড়া বাংলাদেশের পাইলটদের এই অংশ ব্যবহারের নির্দেশনা নেই।
বিমান বাংলাদেশের সাবেক পাইলট ক্যাপ্টেন এম মোস্তাক বলেন, কাঠমান্ডু একটি ঝুঁকিপূর্ণ এয়ারপোর্ট। সেখানে দুইটি রুট আছে। তারমধ্যে টু জিরো খুব কম ব্যবহার করা হয়।
ত্রিভুবনে বিমান অবতরণে বিশ্বে সব এয়ারলাইন্স একটি এপোচার্ড অনুসরণ করেন। সে অনুযায়ী কোনো একবার অবতরণে ব্যর্থ হলে দীর্ঘ বৃত্তাকার পথে অন্নপুর্ণার পাশ দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। এই পথে ৪টি বিপদজনক বাঁক নিতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এই বিমানবন্দরে যে ৭০টি দুর্ঘটনার ইতিহাস তার মূলে বৈরী ভৌগলিক অবস্থান। যদিও এই ঝুঁকি প্রযুক্তির সহায়তায় একটু নিরসন করা সম্ভব।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা আইকাও ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ১৭টি নিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করে। ২০১৬ সালে এগুলোর দূর করার তাগিদ দেওয়া হলেও কাজ শেষ হয়নি এখনও।
সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :