তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি মিয়ানমারে যখন গণহত্যা চলছে ও আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা আসছে, তখন চাল কিনতে যাওয়া এবং চীন, ভারত ও রাশিয়ার সাথে বিশেষ করে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য পন্থা উদ্ভাবন করা প্রয়োজন ছিল। শুধু দ্বিপাক্ষিকভাবেই না করে অন্যান্য পক্ষকে যুক্ত করে যখন সাড়া বিশ্বের যে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল সেটাকে বলবৎ রেখে বিষয়টাকে নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ, মিয়ানমার যখন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় চলে গেল তখন বিশ্বের চাপ মিয়ানমারের ওপর শিথিল হয়ে গেছে। আর এটাই মিয়ানমার চেয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার বাস্তবে ১০ লাখ শরণার্থী নেবে না। এই ভাবে ২০ থেকে ৩০ জনের নামের তালিকা করবে আর সময় বিলম্বিত করে তারা তাদের দায় এড়াবে। বাংলাদেশ সরকারও তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। এখনো আমরা মনে করি, রাশিয়া, চীন ও ভারতের সাথে এ পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একটা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কি না সেই ব্যাপারে নতুন চিন্তা-ভাবনা দরকার। দেশের অভ্যন্তরেও একটা যে বিয়োজন প্রক্রিয়া এবং দেশের অভ্যন্তরে জনমতের শক্তির প্রতিফলন সেটা প্রদর্শিত না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আমরা আশানুরূপ ফল পাব না।
আপনার মতামত লিখুন :