শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৪২ সকাল
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেডিকেল শিক্ষায় প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ নেই

ডেস্ক রিপোর্ট : মেডিকেল শিক্ষায় শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও শিক্ষা উপকরণ বাবদ আলাদা কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই। এর ফলে চিকিৎসা শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর মেডিকেল শিক্ষা নিশ্চিতে এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ (উন্নয়ন-অনুন্নয়ন) দেয়া হয় ৩০ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা এবং মেডিকেল শিক্ষায় ৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। এ হিসাবে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দের ২২ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে মেডিকেল শিক্ষায়। তবে শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষকদের গবেষণা ও প্রশিক্ষণে আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, মেডিকেল শিক্ষায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। কেননা সারা বিশ্বে অসংক্রামক ব্যাধি ব্যাপক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদরোগ ও মস্তিষ্কজনিত সমস্যা। এসব রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূলে চিকিৎসকদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর প্রযুক্তি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে দেশের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা শিক্ষার মান ধরে রাখতে হবে। এর ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান যারা পড়ান (শিক্ষক) তারা শিক্ষার্থীদের সঠিক জ্ঞানদান করতে পারবেন। এতে দেশে দক্ষ চিকিৎসক গড়ে উঠবে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হবে।

ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের সিনিয়র অ্যাডভাইজর ও বিশিষ্ট চিকিৎসা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, চিকিৎসা শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে হলে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষা উপকরণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রয়োজন। এজন্য এসব খাতে অবশ্যই আলাদা বরাদ্দ থাকতে হবে। শুধু তা-ই নয়, মেডিকেল কলেজগুলোয় বিভাগভিত্তিক আলাদা বাজেট থাকাও প্রয়োজন। তা না হলে চিকিৎসা শিক্ষার মান তো বাড়বেই না, বরং তা দিন দিন নিম্নমুখী হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩১টি ও বেসরকারি ৭৪টি। সরকারি-বেসরকারি এসব মেডিকেল কলেজের বেশির ভাগেই বেসিক সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নেই। শিক্ষকদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। বরাদ্দ না থাকায় কোনো গবেষণা কার্যক্রমও চলছে না। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো মূলত ব্যবসার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সেখানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকছে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বণিক বার্তাকে বলেন, মেডিকেল শিক্ষার প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে গবেষণা, দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা উপকরণের আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অবশ্যই আলাদা বরাদ্দ থাকতে হবে। বিএসএমএমইউতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় আলাদা বরাদ্দ রয়েছে বলে জানান তিনি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম বলেন, আধুনিক টেকনোলজির সঙ্গে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এজন্য যেমন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, তেমনি গবেষণাও দরকার। তবে এক্ষেত্রে আলাদা বরাদ্দ না থাকায় তারা নতুন শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারছেন না। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল থেকে গবেষণার জন্য সীমিত কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এতে তরুণ শিক্ষকরা গবেষণায় মনোযোগ দিতে পারবেন। তবে বিভাগভিত্তিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। সূত্র : বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়