শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ০১:২১ রাত
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ০১:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ৬ হাজার ৪ কোটি টাকা

জাফর আহমদ: ডিসেম্বর প্রান্তীকে ছয় হাজার চার কোটি ১০ লাখ টাকা খেলাপিঋণ (ক্লাসিফাইড) কমেছে। সেপ্টেম্বর প্রান্তীকে মোট খেলাপি ঋণের পরিমান ছিল ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ডিসেম্বর প্রান্তীকে খেলাপি ঋণের পরিমান কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গত ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরনকৃত ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৯৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। তিনমাসে আগে ৩১ সেপ্টেম্বর নাগাদ মোট বিতরনকৃত ঋণের পরিমান ছিল ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তিন মাসে বিতরণকৃত করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের শেষের দিকে বড় অঙ্কের ঋণ পুনঃতফসিলকরণ ও আদায় জোরদায় করায় খেলাপি ঋণের পরিমান কমে এসেছে। এর প্রভাব পড়ছে খেলাপি ঋণে। তথ্য অনুযায়ী শেষ তিন মাসে কমলেও গত এক বছরের ব্যবধানে এ খাতে খেলাপিঋণ বেড়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতে খেলাপিঋণ ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বিতরণের বিপরীতে খেলাপি হয়ে পড়েছে ৩৭ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা; যা এসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। তিন মাস আগে এই ছয়টি ব্যাংকের খেলাপিঋণ ছিল ৩৮ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বা ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময়ে সরকারি মালিকানার দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৯৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর বিপরীতে খেলাপি হয়েছে ৫ হাজার ৪২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা; যা এসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তিন মাস আগে এই ব্যাংক দুটি খেলাপিঋণ ছিল ৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা বা ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাভ ৩ হাজার ৬০৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে খেলাপি হয়েছে ২৯ হাজার ৩৯৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা; যা এসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তিন মাস আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ ছিল ৩৩ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ডিসেম্বর শেষে বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ৩০ হাজার ৬২২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ঋণের বিপরীতে খেলাপি হয়েছে ২ হাজার ১৫৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা; যা এসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। তিন মাস আগে বিদেশী ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ ছিল ২ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। এদিকে, ডিসেম্বর শেষে আলোচিত ফারমার্স ব্যাংকের খেলাপিঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা; যা এ সময় পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। তিন মাস আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফারমার্স ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৩৭৮ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়