তরিকুল ইসলাম : অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)- এর ফিকাহ্ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোট ভুক্ত ইসলামিক দেশগুলের মধ্যে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকার ‘মুসলিম উম্মাহ্’ নামের একটি ধর্মীয় সংগঠন। একই সঙ্গে সংগঠনটি বলছে, ওয়াইসি’র এ সিদ্ধান্ত জোট ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শুধু তিনিটি দেশ মানছে না। তার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্থান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির মানববন্ধন থেকে এমনটাই জানিয়েছেন বক্তারা। মুসলিম উম্মাহ্র সভাপতি মুফতি সাইয়্যেদ আবদুছ ছালামের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক লে. কর্ণেল (অব:) খোন্দকার ফরিদুল আকবর, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কাশেম ফারুকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, এয়ার কমোডর (অব:) সৈয়দ জিলানী মাহবুবুর রহমান, এ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন এবং চন্দ্র মাসের সঠিক তারিখ বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মহাসচিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আকতার ফারূক।
বক্তারা বলেন, নাসা বিজ্ঞানীরা পৃথীবিতে একটি চাঁদের অস্তিতই খুঁজে পেয়েছেন, একাধিক নয়। বিজ্ঞানের কল্যাণে মূহুর্তেই এখন পৃথীবির সকল তথ্য পাওয়া যায়। চন্দ্র দ্রাঘিমাংশের কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলেই বা স্বাক্ষ্য পেলেই বিশ্ব মুসলিম একই তারিখে রোজা রাখা শুরু করবে এবং ঈদ পালন করবে। কোরআন একেকটি দেশের মুসলিম দের জন্য একেক রকম নির্দেশনা প্রদান করেনি। সমগ্র মানব জাতির জন্যই একই নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের দেশের কতিপয় আলেমরা সেটা মানতে চায় না। এটা অত্যান্ত কষ্টের। এতে করে আমাদের ইবাদাত সঠিক ভাবে পালন হচ্ছে না। আমরা বঞ্চিত হচ্ছি আল্লাহর নৈকট্য থেকে।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, এখন সময় এসছে এসব ভেবে দেখার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটি নিজেদের চোখেও চাঁদ দেখেনা। তারা এসিরুমে বসে থাকে। ইসলাম যে, বিজ্ঞান সম্মত সেটা তারা মানতে চায় না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আমরা গিয়েিেছলাম। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানলাম, তারা তাদের বড় হুজুরের শতশত বছর আগের নির্দেশ অমান্য করতে পারবেনা। কোরআন-হাদিসের আলোকেই আমাদের জীবন ধারণ করতে হবে। কাজেই ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে সরকার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশে এটির বাস্তবায়ন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :