শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রিসে পুলিশের সাথে শরণার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১১

প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক: গ্রিসের লেসবস দ্বীপের মরিয়া রিফুজি ক্যাম্পে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অভিবাসন প্রত্যাশীদের মাঝে কমপক্ষে দুইশোজন নারী ও শিশুকে পার্শ্ববর্র্তী একটি গোডাউনে রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ১১ জনকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ডক্টর উইদাউট বর্ডার। যাদেও মধ্যে একজন নারী ও শিশুও ছিলেন বলে জানান তারা।

সোমবার গ্রিসের আশ্রয়কেন্দ্রটিতে সিরিয়ার এক নাগরিক আত্মহত্যা করতে গেলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের পক্ষ থেকে বলা হয় পুলিশ ও আশ্রয়প্রার্থীদের মাঝে সংঘর্ষে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ক্যাম্পের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের মুখপাত্র জানায়, গ্রিসের মরিয়া রিফুজি ক্যাম্পে প্রায় পাঁচ হাজার আশ্রয়প্রার্থী রয়েছে। যা তার ধারণ ক্ষমতা থেকে দুইগুণ বেশি। বুধবারের ঐ আশ্রয়কেন্দ্রটির সংঘর্ষটিকে বিগত কয়েকবছরের মধ্যে অত্যন্ত ভয়াবহ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ মিলিয়নের কাছাকাছি জনসংখ্যা ইউরোপে এসেছে। তবে ২০১৬ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দুই সদস্য তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে শরণার্থী বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটিতে আশ্রয়কারীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও এ চুক্তিটির সমালোচনা করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে গ্রিসের লেসবস দ্বীপ সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানের উদ্বাস্তুদের জন্য প্রবেশদ্বার হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। রয়টার্স
.

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়