আব্দুর রাজ্জাক: ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমের প্রায় ৫হাজার বসতি গুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একটি জরিপ প্রতিবেদন। জায়গাগুলো ১৯৬৭সালের ইসরাইল-আরব বিশ্বের মধ্যকার শান্তি-চুক্তি লঙ্ঘন করে তারা জোরপূর্বক দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি কর্র্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনের ‘ল্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ (এলআরসি)’র ছাড়পত্রপ্রাপ্ত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল তাদের প্রায় ৩লাখ ৮০হাজার মানুষের প্রতিবছর নতুন করে আরো অন্তত ২হাজার বাড়ি প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাদের অর্ধেকই এখন অনিবন্ধিত ঠিকানায় রয়েছে যাদের খুব জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। জেরুজালেমে ইসরায়েলের অবৈধভাবে আরোপিত বিধি-নিষেধের কারণে ফিলিস্তিনিদের নতুন করে বসতি নির্মাণ প্রায় অসম্ভব হয়েপড়েছে বলে জানিয়ে প্রতিবেদনটি।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী সেখানে ইসরাইল ২০১০ ও ২০১৪সালে মাত্র ১.৫ শতাংশ বাড়ির অনুমতি দিয়েছে যদিও এলাকাটি ১৯৬৭সালের শান্তি ও সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিনের অধিনে থাকার কথা। কিন্তু এলআরসি বলছে ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমের মাত্র ১২শতাংশ জায়গা ব্যবহার করতে পারে যা মাত্র ৭শতাংশ জায়গা বসতি নির্মাণের উপযোগী। জেরুজালেমের মাত্র ১৫শতাংশ জমি ফিলিস্তিনিদের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের মানবাধিকার বিষয়ক তথ্য সংস্থা ‘বি’সালেম’।
উল্লেখ্য, শুধু ১৯৪৮সালে ইসরাইলি বাহিনী পূর্ব জেরুজালেমের অন্তত ৩৯টি গ্রাম ধ্বংস করে প্রায় ১লাখ ৯৮হাজার অধিবাসীকে উচ্ছেদ করেছে। তাদের নির্যাতনের কারণে ১৯৪৮সালে ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে কেন্দ্র করে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের আগে ও পরে প্রায় ৩৬হাজার ৫শত অধিবাসী জেরুজালেম ছেড়েছে। পরে ১৯৬৭সালের যুদ্ধে প্রায় ৭০হাজার ফিলিস্তিনিকে জেরুজালেম ছাড়তে বাধ্য করেছিল ইসরাইল এবং তাদের আর কখনো সেখানে ফিরতে দেয়া হয়নি। আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :