হ্যাপী আক্তার : দুরপাল্লার যান চলাচলে প্রকাশ্যে চাঁদা দিতে হয় চাঁদাবাজদের। তারই প্রতিবাদে চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দক্ষিণাঞ্চলের ১৭টি রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট চলছে।
মহাসড়কে চাঁদা আদায় ও ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে ১৭ টি জেলায় এই ধর্মঘট চলছে।
এর ফলে বরগুনা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, বেনাপোল ও অভ্যন্তরীণ মোট ১৭টি রুটে পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির দাবি, বরগুনা থেকে বরিশাল সড়কের চান্দখালী এবং সুবিদখালী পয়েন্টে বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে বাস থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, গেলো সোমবার রুট পারমিটের শর্ত ভেঙে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি বেআইনিভাবে মহাসড়কের পাশে অননুমোদিত বাস টার্মিনাল তৈরি করে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাসে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা মালিক সমন্বয় পরিষদ। এ সময় বরিশাল থেকে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৭ রুটে বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দেন বাস সমিতির নেতারা
দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেও এসব সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ও জেলার অভ্যন্তরে বাস ও সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পরিবহণ ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাস মালিক নেতারা।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :