শিরোনাম
◈ তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি 

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৮, ০৩:০১ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৮, ০৩:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পিরোজপুরে নানা সংকটে আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের বড়ইবাড়ীর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে ভাঙা-জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে।

ঘরের সামনে ও পিছনে ভাঙাচোরা বেড়া। শিক্ষকদের একটি রুমসহ শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট তিনটি ক্লাস রুম, অল্প কয়েকটি বেঞ্চ, টেবিল আর ব্লাক বোর্ড এই দিয়ে কোনো মতে চলছে বড়ইবাড়ী আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।

জানা যায়, ৩৭ শতাংশ জমির উপর ৭০ ফুট দীর্ঘ এই টিনশেড ঘর আর কিছু আসবাবপত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয় ১৯৮২ সালে।

১৯৮২ সালে বড়ইবাড়ী গ্রামের কয়েকজন শিক্ষানুরাগী আসমত আলী নামে এক ব্যক্তির দান করা জমিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন বিদ্যালয়টি। এলাকার বড়ইবাড়ী, চিনাবুনিয়া, বিন্না, খারাবাগ গ্রামগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিস্তারে বিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় একশ ছাত্র-ছাত্রী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়টি এতটাই জরাজীর্ণ যে, বৃষ্টি হলেই ভাঙা টিন দিয়ে ক্লাস রুমে পানি পড়ে, বৃষ্টির ছিটা ঢুকে পড়ে ক্লাসের ভিতরে। টিনশেড হওয়ায় বেশি রোদ উঠলেও গরমে ক্লাস রুমে বসে থাকা যায় না।

স্কুল সংলগ্ন রাস্তাগুলো কাঁচা এবং নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্কুল ঘরের ফ্লোর কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এই সকল সমস্যার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন কমতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় একটি পাকা ভবনসহ স্কুল সংলগ্ন রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন না হলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা খুবই কঠিন পড়ছে। তাতে শিক্ষার্থীও কমতে শুরু করেছে।

তবে পিরোজপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন মৃধা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের কোটা তালিকাভুক্ত হলে এ সকল স্কুলের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়