জাফর আহমদ: আগামী বাজেটে ১ হাজার স্কুলকে এমপিও (মান্থর্লি পে-অর্ডার) ভূক্ত করবে সরকার। এজন্য শিক্ষা বাজেটে অতিরিক্ত ৪ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রাক বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ ২০১০ সালে কিছু স্কুলকে এমপ্ওি ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে ২৬ হাজার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এমপ্ওি ভূক্ত আছে। বাকি আছে ৯ হাজার স্কুল। এমপিও ভূক্তির প্রচন্ড চাপ রয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে এমপিও ভূক্তির কথা বলা হয় তা বোগাস।
বিএনপি সরকারের সময়ে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার শিক্ষামন্ত্রী থাকা কালিন সময়ে উত্তরাঞ্চলে নিয়ম না মেনে যে সব স্কুল এমপিও ভূক্ত করা হয় সে সব স্কুলের এমপিও বাতিল করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক স্কুল এমপিও ভূক্ত করা হয়েছে এ সব স্কুলে শিক্ষক আছে, ছাত্র নেই। এমন বেশ কিছু স্কুলের এমপিও বাতিল করা হয়েছে। আরো কিছু বাতিল করা হবে।
হিসাব করে মুহিত বলেন, চলতি বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বরাদ্দের ৬৬ শতাংশই ব্যয় হয় এমপিও ভূক্ত স্কুলগুলোর জন্য। এতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বরাদ্দ আছে ২১ হাজার কোটি টাকা । এর প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকাই ব্যয় হয় এ খাতে। আগামী বাজেটে কত স্কুলকে আমরা এমপিও ভূক্ত করবো তা হিসাব করে বলা যাবে। তবে ১ হাজার স্কুলকে এমপিও ভূক্ত করা যাবে।
তিনি বলেন, দেশে সিটি, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে স্কুলগুলোর মান খুবই খারাপ। ৮’শ থেকে ১২’শ ছাত্র আছে কোন কোন স্কুলে। কিন্তু ভাল শিক্ষক নেই। ভাল স্কুল ঘর নেই। এখন যেসব স্কুল ভবন বানানো হচ্ছে সেগুলোর নিন্মমানের। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ অনেক মন্ত্রণালয় বিল্ডিং বানায়। কিন্তু মান সম্মত স্কুল ভবন হচ্ছে না।
মুহিত বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সমস্য আছে। ৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিতে ৫ বছর লেগে যায়। এর মধ্যে আরো ২ হাজার নিয়োগ দেওয়ার সময় হয়ে যায়। স্কুলে প্রধান নিয়োগ প্রক্রিয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাল প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নীতিমালা করার পর এখন ভাল শিক্ষক প্ওায়া যাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :