শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৫১ সকাল
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোনিয়ার নৈশভোজে একজোট বিরোধীদল, লক্ষ্য বৃহত্তর মোদীকে থামানো

ডেক্স রিপোর্ট : সোনিয়া গান্ধী  গত বছরের ডিসেম্বরে ছেলে রাহুল গান্ধীর হাতে ভারতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব তুলে দিলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শক্তিশালী জোট গঠনে রাজনীতি সক্রিয় হয়েছে তিনি। আর সেই উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার(১৩মার্চ )সোনিয়া  ডাকে নৈশভোজে ‌যোগ দিল ১৯ বিরোধী দল।

জি নিউজের খবর, দেশজুড়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির গতি থামিয়ে দিতে মরিয়া কংগ্রেস। কিন্তু একার পক্ষে যে নির্বচানে ভালো ফল করা সম্ভব নয় তা দেখিয়ে দিয়েছে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ফলে বিরোধীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে যেতে মরিয়া কংগ্রেস। পাশাপাশি সপা, সিপিএম, বসপাসহ বিরোধীরা ‌যেভাবে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে তাতে তাদের সামনেও জোট রাজনীতি ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধী এক আলোচনা সভায় মন্তব্য করেন, বিজেপিকে কোনোভাবেই ২০১৯ সালে সরকার গড়তে দেওয়া ‌যাবে না। এরপরই এই নৈশভোজের আয়োজন। মঙ্গলবার সোনিয়ার ডাকে নৈশভোজে হাজির হয়েছিলেন সপা, বসপা, তৃণমূল, সিপিএম, ডিএমকে, আরজেডি, ন্যাশনাল কন্ফারেন্সের প্রতিনিধিরা।

নৈশভোজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, নৈশভোজে রাজনৈতিক আলোচনাই বেশি হয়েছে। বিরোধী নেতাদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলার এটা একটা বড় সু‌যোগ ছিল।
আপাদমস্তক ঘরোয়া আড্ডায় আসলে ভাব জমানোই ছিল সোনিয়ার লক্ষ্য। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের যখন আর বেশি বাকি নেই। বিরোধী জোট এখনও সে ভাবে দানা বাঁধেনি। তার উপর রাহুলের নেতৃত্বে অনেকে স্বচ্ছন্দ নন বলে গুঞ্জন উঠছে কিছু ক্ষেত্রে। মমতা আবার টিআরএসের চন্দ্রশেখর রাও, ডিএমকে-র এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলছেন। শরদ পওয়ার পৃথক বিরোধী সম্মেলন করছেন। যা দেখে অনেকের মত, সে প্রয়াস যতটা না বিজেপি-বিরোধী, তার থেকেও বেশি কংগ্রেস-বিরোধী। পওয়ার অবশ্য আজ ছিলেন নৈশভোজে। রাহুল তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন অনেকক্ষণ।

ভোজ শেষে টুইট করলেন রাহুল: ‘‘অসাধারণ নৈশভোজ। নানা দলের নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া স্তরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর সুযোগ। অনেক রাজনৈতিক কথা হল। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক শক্তি, উষ্ণতা ও অকৃত্রিম স্নেহ।’’ এটাই চাইছিলেন সোনিয়া।
সে কারণে নিজের বাড়িতে সম্প্রতি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে সোনিয়া বলেছিলেন, বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় স্তরে জোট দরকার। রাহুলকে পাশে নিয়ে সেই কাজটিই শুরু করে দিলেন সোনিয়া।

সূত্র: জি নিউজ, আনন্দবাজার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়