নিলুফার চৌধুরী মনি : এটি তো একটি জঘন্যতম কাজ। একটি সরকার যখন বলে, “মানুষ মারলে দোজখে যায়”। এখন যে মিছিল থেকে একজন জ্যান্ত যুবক কে তুলে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো, এখন কি তাদের কোন দায়িত্ববোধ নেই? মারার পরে তাকে কারাগারে দেওয়া হলো, তারপর কারাগার থেকে লাশ বের করা হলো। এই যে ছেলেটির প্রতি অভিমান, হয়তবা ছেলেটি টাকা দিতে পারেনি। ছেলেটি সরকারকে বা পুলিশ কে টাকা দিতে পারেনি, সরকারকে কিংবা পুলিশ কে ৫/১০ লাখ টাকা দিয়ে খুশি রাখতে পারেনি। অনেকেই হয়ত জমিজমা বিক্রি করে টাকা দিয়ে বেঁেচ থাকে, ছেলেটিও হয়ত টাকা দিলে বেচেঁ থাকতে পারতো। এই যে সরকারের দায়িত্ববোধ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? বর্তমান সরকার কি এভাবে মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে যাওয়ার আশা করে?
কেউ খুন করলে যদি বেহেস্তে না যায়, তাহলে বর্তমান সরকার কীভাবে বেহেস্তে যাবে? তার পরিবারের কিছুই করার নেই। এইভাবে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন পৃিথবীর কোথাও নেই। রিমান্ডের নাম দিয়ে যেভাবে একজন মানুষ কে হত্যা করা হলো, আমি ব্যক্তিগতভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, সর্বোচ্চ প্রতিবাদ জানাই। একজন জ্যান্ত মানুষকে যেভাবে গ্রেফতার করে হত্যা করা হলো, ইসলাম যে আইন টা করেছে ‘হত্যার বদলে হত্যা’ এক্ষেত্রে সেই বদলা হওয়া উচিৎ। এরচেয়ে স¦াভাবিক কথা বলতে পারছি না। যে শার্ট গায় দিয়ে ছেলেটি মিছিল করেছে, সেই শার্ট গায় দিয়েই তার লালা বেড়িয়েছে।
তার মানে তাকে যেখান থেকে ধরে নিয়ে গেছে, তার শার্ট টা খোলার মত অবস্থাও ছিল না। ছাত্রদলের একটি ছেলে, তার বয়সই বা কত? সমস্ত বাংলাদেশেরই বিবেকে নাড়া দেওয়ার কথা। অথচ দেখেন, রাষ্ট্রের বিবেকবান মানুষেরা সবাই চুপ। রাষ্ট্রযন্ত্র কোন কাজই করে না। রাষ্ট্রযন্ত্র শুধু কাজই করে, খালেদা জিয়ার মামলার নথি বকসিবাজার থেকে হাইকোর্টে যেতে সময় লাগে একমাস, আর কুমিল্লা থেকে ঢাকায় নথি আসতে সময় লাগে দুই ঘন্টা। বকসিবাজার থেকে হাইকোর্টের দূরত্ব হতে পারে এক হাজার থেকে দু হাজার গজ, সেখানে আসতে সময় লাগে একমাস। কী অভিনব কাজ সরকার করে!
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :