শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০৬:৪৩ সকাল
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০৬:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেদেরকে সংকোচিত করছে

ড. রেজওয়ান সিদ্দীকি : বাংলাদেশে এখন সুশাসন ও গণতন্ত্রের যে অভাব তা ৭২ বা ৭৫ এর পর আর হয়নি। সাথে সাথে আমাদের দেশে যে স্বৈর শাসন চলছে তাতে আমাদের দেশকে একপ্রকারের এক দলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন অবস্থাটা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে যা কিছু আছে সব শুধু আওয়ামী লীগই পারবে আর কেউ পারবে না। যারা বিরোধী দল আছে তারা একটি মানববন্ধনও করতে পারবে না। একটি জন সভা করতে পারবে না।

এটি কি কোন গণতন্ত্র হলো? এই কিছু দিন আগে খুলনার হাদিস পার্কে যে জনসমাবেশ হলো তাতে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে। হাদিস পার্ক তো এমনিতেই জনসভা মিটিং মিছিলের জন্য বিখ্যাত। সেখানেও কী ১৪৪ ধারা জারি করতে হলো? পরে পুলিশ তাদেরকে বলল,“পার্টি কার্যালয়ের সামনে মিটিং করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখলাম সেখানে জনতার এত ঢল যে জনতার জায়গা না হওয়ায় হদিস পার্কের ভিতরে লোক শেষ পর্যন্ত ঢুকেই গেল। এখন কথা হলো যখন কোন দড়ি জোড়ে টান দেয়া হয় তখন তা ছিড়ে যায়। তো মানুষকে যেভাবে বেধে রাখা হচ্ছে, তাতে যেকোন সময় এই বাধ ভেঙ্গে জনবিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। এটি একটি সংঘাতিক অগণতান্ত্রিক কাজ। বিএনপির সোহরাওয়ার্ধী উদ্যানে সমাবেশ করাটা একটি রাজনৈতিক অধিকার। এটি প্রতিটি দলের ক্ষেত্রেই এক। আওয়ামীলীগ সমাবেশ করতে পারবে, আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না, এটি অধিকার হরণ ছাড়া আর কিছু নয়।

পুলিশ প্রশাসন বলেছিল যে, তারা কোন রাজনৈতিক কার্যকালাপ কে বাধা দিবে না। কিন্তু বিএনপির সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ তো একটি রাজনৈতিক কার্যকালাপ। তাহলে তারা এখানে অনুমতি দিচ্ছে না কেন? বিএনপি তো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাদেরকে কোন প্রকারের বিবেচনা ছাড়াই না করে দিয়েছে ডিএমপি।
এর মাধ্যমে আমরা কিন্তু একটি বিষ্ফোরণের দিকে এগোচ্ছি, কারণ এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে কিন্তু সবাই একসাথে আন্দোলন করেছিল এবং তাকে কিন্তু সেখান থেকে হটানো হয়েছিল।

আমার তো মনে হয়, আওয়ামী লীগ টের পাচ্ছে না তারা নিজেরা কতটা সংকোচিত হয়ে পড়ছে। কিছু গুন্ডা-পান্ডা, কিছু উশৃংঙ্খল ছেলে পেলে, যুবক-যুবতির উপর নির্ভর করে তারা চলছে।

আমরা এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা মিলির ফেসবুক স্ট্যাটসে দেখেছি, লোক দিতে পারলে টাকা দেয়া কাহিনী। এভাবে তারা বিভিন্ন টাকা দিয়ে লোক এনে যে বিভিন্ন দূর্ণীতির উদাহরণ পেশ করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সুতরাং গনতন্ত্রকে তার আপন শক্তিতে চলতে দেয়া উচিত এবং সবাইকে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণতন্ত্র চর্চা ও অধিকার দেয়া উচিত। তা না হলে দেশে গনবিষ্ফোরণ অনিবার্য হয়ে যাবে।
পরিচিতি : সম্পাদক, দৈনিক দিনকাল/ মতামত গ্রহণ : শাখাওয়াত উল্লাহ/ সম্পাদনা :

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়