শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্য এশিয়ায় অস্ত্র আমদানির জন্য ইন্ধন দিচ্ছে যুদ্ধ-সংঘাত, সমীক্ষা

ইমরুল শাহেদ : গত পাঁচ বছরে মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অস্ত্র আমদানি বেড়ে গেছে। সোমবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে যুদ্ধ এবং উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে যুদ্ধ কবলিত মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র আমদানি দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এই পরিমাণ গত পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে ১০৩ শতাংশ। এ তথ্য জানিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনসটিট্যুট (এসআইপিআরআই)। এর মধ্যে শুধু মধ্যপ্রাচ্যই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩২ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে।

এসআইপিআরআই একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। তারা গত পাঁচ বছর থেকে এই অস্ত্র আমদানির বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। এসআইপিআরআই বলেছে, ভারতের পর সৌদি আরবই বিশ্বের দ্বিতয়ি বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ।

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬১ শতাংশ এবং ২৩ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে। শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে যে, সৌদি আরব ব্রিটেনের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৮টি ইউরোফাইটার জেট, বিএই পদ্ধতির সামরিক যন্ত্রপাতি।

সৌদি-ব্রিটেনের এই অস্ত্র চুক্তি যুক্তরাজ্যে বিতর্ক ও বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। প্রতিবাদস্বরুপ এনজিও সেভ দি চিল্ড্রেন একটি শিশুর স্বাভাবিক আকারের একটি মূর্তি স্থাপন করেছে পার্লামেন্টের সামনে। লক্ষ্য হলো সহিংসতার প্রতি সকলের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করা, যার অংশত ইন্ধন যোগাচ্ছে ব্রিটিশদের বানানো বোমা।

এসআইপিআরআই-এর উর্ধ্বতন গবেষক পাইটার ওয়েজেম্যান বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা, পশ্চিম ইউরোপে মানবাধিকার রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ এবং উত্তর আমেরিকায় অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোই এই অঞ্চলে সর্বাধিক অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। সরবরাহকৃত অস্ত্রের ৯৮ শতাংশই আমদানি করছে সৌদি আরব।’
এসআইপিআরআই-এর হিসাব অনুসারে, এশিয়া এবং ওশেনিয়া সর্বাধিক অস্ত্র আমদানি করে থাকে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিশ্বের ৪২ শতাংশ অস্ত্র এই অঞ্চলই আমদানি করেছে। ভারত হলো সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া থেকে এ দেশটি ৬২ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে।

একই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারতের অস্ত্র আমদানি গত পাঁচ বছরে ছয় গুণ বেড়েছে।
একপক্ষে ভারত এবং অপরপক্ষে পাকিস্তান ও চীন - ভারতকে গভীর উদ্বেগের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং সে কারণেই ভারত অস্ত্র আমদানির দিকে ঝুঁকেছে। তবে সেই সব অস্ত্রই আমদানি করছে যার প্রযুক্তি তাদের কাছে নেই বা যা প্রস্তুত করতে তারা অক্ষম। এ কথা বলেছেন এসআইপিআরআই’র আরেক গবেষক সাইমন ওয়েজেম্যান।

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে চীন ক্রমশই অস্ত্র প্রস্তুতের সক্ষতা অর্জন করছে এবং পাকিস্তান এবং মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ করে সম্পর্ক বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে।’

গত পাঁচ বছরে চীনের অস্ত্র রপ্তানি বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। তবে দেশটি মিয়ানমারের কাছে সর্বাধিক অস্ত্র বিক্রি করছে। এর পরিমাণ ৬৮ শতাংশ।

মিয়ানমার সম্প্রতি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি চালিয়েছে, যে কারণে সাত লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছে। এই ঘটনায় মিয়ানমার নিন্দিত হযেছে এবং হচ্ছে। দেশটির নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরবনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়