শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০১৮, ০৬:১২ সকাল
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৮, ০৬:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসিতে নিবন্ধন: ভুল সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছে না সব দল

ডেস্ক রিপোর্ট : নির্বাচন কমিশননিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদিত ৭৬টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৯টির আবেদন প্রাথমিক বাছাইয়ে বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে নিয়ম মেনে ট্রেজারি চালান জমা না দেওয়ায় ১৪টি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর না থাকায় পাঁচটি আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়। বাকি দলগুলোর অধিকাংশই নিবন্ধনের শর্ত পূরণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাদের সংশোধনের জন্য ১৫ দিন সময় পাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান, ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) ও শনিবার (১০ মার্চ) ইসির নিবন্ধন যাচাই-বাছাই কমিটি বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর ত্রুটি সংশোধনের জন্য আরও পনের দিন সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, যেসব দলের আবেদনে বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে, কমিটির পক্ষ থেকে সে দলগুলোর আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি দলগুলোকে সংশোধনের সুযোগ দিতে ১৫ দিন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।’ আরপিও’তে নির্দিষ্ট কিছু ভুলের জন্য সংশোধনের সুযোগ দেওয়া কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘বাছাই কমিটির প্রস্তাব কমিশন সভায় পাঠানো হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি সংশোধন করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে। পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোরও প্রধান পদগুলোয় দলীয় ভিত্তিতে ও প্রতীক ব্যবহারের বিধান করা হয়।

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য গত ৩০ অক্টোবর আগ্রহীদের কাছে আবেদন চেয়ে জনবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ইসি। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৬টি দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী এই মাসের মধ্যেই দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এ লক্ষে গত বৃহস্পতিবার ও ছুটির দিন শনিবার ইসির নিবন্ধন যাচাই-বাছাই কমিটি কয়েক দফা বৈঠকে বসে।

নিবন্ধন ফি, গঠনতন্ত্র ও আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুই-একটি দল ছাড়া বাকি দলগুলো চাহিদা অনুযায়ী পরিপূ্র্ণ তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

১৪টি রাজনৈতিক দল আবেদনের সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার নিবন্ধন ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেয়নি। দলগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ ঘুষ নির্মূল পার্টি-বিজিএনপি (ঝাড়ু/রিকশা), বাংলাদেশ সততা দল-বিএইচপি (আনারস), তৃণমূল ন্যাশনাল পার্টি (আনারস), জাতীয় পরিবার কল্যাণ পার্টি-জেপিকেপি (গলদা চিংড়ি), গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভ্যাসানী), বাংলাদেশ হিন্দু লীগ (হাত), বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট (ছাতা), বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি-বিআইপি (গমের শীষ), বাংলাদেশ শান্তির দল (চাঁদ), কৃষক শ্রমিক পার্টি (হুক্কা), জনস্বার্থে বাংলাদেশ (মোবাইল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-বিএনডিপি (স্যাটেলাইট), বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট-বিডিএম (প্রতীক চায়নি) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ভাসানী ন্যাপ (প্রতীক চায়নি)।

এছাড়া নির্ধারিত ফরমে আবেদন না করায় সুশীল সামাজিক আন্দোলন-এসএসএ (শার্ট) দলটির আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটি বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি (কলম), বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস (গমের ছড়া বা হাতপাঞ্জা) ও মৌলিক বাংলা (মাথাল)—এই তিনটি দলের আবেদনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সই না থাকায় এসব দল নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আবেদন অসম্পূর্ণ ও গঠনতন্ত্রের কপি জমা না দেওয়ায় ন্যাপ-ভাসানীর নিবন্ধন আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার পরও অনেক দলই খসড়া গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে। ১৫ দিন সময়ের মধ্যে দলের কাউন্সিল ডেকে গঠনতন্ত্র পাস করানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বেশকিছু দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়নি; আবার কোনও কোনও দল কমিটিতে নারী প্রতিনিধি রাখেনি।

অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন উপযোগী হিসেবে যে দলগুলোকে বাছাই করা হবে, সে সব দলের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় ও কমিটি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। এসব দলের বিষয়ে দাবি-আপত্তি শেষে নিবন্ধন দেওয়া হবে। বর্তমানে কমিশনে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনের সময় মাত্র দু’টি দল নিবন্ধন পায়। আর ২০০৮ সালের নিবন্ধন পাওয়া ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল এবং মানবতাবিরোদী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল করা হয়।’

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার বাছাইয়ে চার-পাঁচটি দলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তবে নিবন্ধনের জন্য আরও অনেক প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। তবে ইসি ঘোষিত রোডম্যাপে নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে মার্চ মাসের কথা বলা হলেও তা নির্ধারিত সময়ে সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বিদ্যমান নিবন্ধিত দলগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি যাচাইয়ের কথা রোডম্যাপে বলা হলেও এখন পর্যন্ত্র কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি ইসি। বাংলাট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়