শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০১৮, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০১৮, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওগো মা…

জ, ই, মামুন : আজি দুঃখের রাতে সুখের ¯্রােতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী
ওগো মা...আজ মাকে বিদায় জানালাম; চির শ্রদ্ধায়- চির ভালোবাসায়- চির বিদায়। গর্ভধারিণী না হয়েও তিনি কি পরম মমতায় আমাদেরকে সন্তান করে নিয়েছিলেন, কোলে তুলে নিয়েছিলেন। আসলে এই দুঃখিনী বাংলাকেই তিনি কোলে তুলে নিয়েছিলেন। উঠেছিলেন মমত্ব, মাতৃত্ব আর সাহসের মূর্ত প্রতীক।

তাঁর পিঙ্ক সিটির বাড়িতে ছড়ানো ছিটানো কাঠের গুড়ি, ভাঙা ডালপালা, শেকড় বাকর, নানা ফেলনা জিনিস। অথচ তাঁর হাতে এই ফেলনা জিনিসগুলোই হয়ে উঠতো কি অনিন্দ্য শিল্প। এখন আর ওই শেকড় বাকর ভাস্কর্য উঠবে না। থরে থরে সাজানো তাঁর মাটির- কাঠের মালাগুলো নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে। তার কপালের আকাশে আর হেসে উঠবে না ভোরের লাল সূর্য। বিষন্ন বাড়িটিতে তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ হবে না, শেষ যাওয়া কাজগুলোর কি হবে? উইপোকার আহার হবে, নাকি মাটির সাথে মিশে যাবে ধিরে ধিরে, নাকি আমরা গড়ে তুলতে পারবো প্রিয়ভাষিণী সংগ্রহশালা?

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বড় বেশি প্রাসঙ্গিক ছিলেন আজকের বাংলাদেশে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শুধু প্রাণটুকু ছাড়া আর সবই দিয়েছেন এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য। স্বাধীন দেশে সেই প্রাণশক্তির জোরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, উঠে দাঁড়িয়েছেন সাহস নিয়ে। আবার সেই সাহস সঞ্চারিত করেছেন লাখো মানুষের অন্তরে। কেমন করে যেন তিনি উঠেছিলেন সাহস আর মমত্বের বাতিঘর। কবি সুফিয়া কামাল, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতো জীবদ্দশাতেই অমরত্বের মহত্ব অর্জন করে ফেলেছেন তাঁর সাহস আর মমত্ব দিয়ে।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার সময় মাথার মধ্যে ঘুরছিলো এইসব এলোমেলো চিন্তা। সেজন্যেই প্রবল বেদনাবোধের ভেতরেও কেমন একটা প্রশান্তি অনুভব করছি। মনে হচ্ছে, ওপার তিনি আমাদের আশীর্বাদ করছেন। বলছেন, হে বাংলাদেশ তুমি আমার সন্তানদের রক্ষা করো। আমার যে কন্যা কাল রাস্তায় দস্যুদের হাতে নিগৃহীত হয়েছে, তাকে সাহস দাও। যে দুর্বৃত্তরা আমার মেয়েকে লাঞ্ছিত করেছে তাদের শাস্তি দাও। অভিশাপ দিচ্ছেন সেই নেকড়েদের যারা এই দেশকে কসাইখানা বানাতে চায়।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী চলে গেছেন। তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু তিনি যে আশা, সম্ভাবনা এবং সাহসের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন তা উজ্জ্বলতর হোক বাংলাদেশের সবার হৃদয়ে।

এজন্যেই ওই গানটি মনে এলো-

আজি দুঃখের রাতে সুখের ¯্রােতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী
ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে...
পরিচিতি : প্রধান নিবৃাহী সম্পাদক, এটিএন বাংলা/ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়