রেজাউদ্দিন স্টালিন :
প্রিয় বন্ধু আসগর
শুভেচ্ছা।
তুমি গতকাল মোবাইলে যে প্রস্তাব রাখিয়াছ তাহা দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। মনে পড়িতেছে ছোট বেলায় তোমাকে ‘অজগর’ বলিয়া ক্ষ্যাপাইতাম। তখন হইতে তোমার চাওয়া ছিলো বেশী। আমার গ্রামের জমিতে ইটভাটা তৈরীর যে পরিকল্পনার কথা বলিয়াছ তাহা অনৈতিক। সামান্য লাভের জন্য জমির বুকে আগুনের চাষ করিতে পারি না। বরং জমিতে তুমি যদি চাষবাস করিয়া লাভবান হইতে চাওÑতাহা হইলে পাট গাছের পতাকা উড়াইয়া দাও।
সকলে পাটকে ‘সোনালী আঁশ’ বলিলেও আমি বলি ‘জিয়নকাঠি’। আমি কবিতা লিখিÑ ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলিয়া তোমরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করিতে। ক্ষ্যান্ত দিই নাই। কবিতা দিয়া তোমাদের নির্দয়তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতেছি। মনে পড়ে পাটকাঠি দিয়া শীতের রস খাইতাম। নানীমা পাটের ছিকায় পাটালিগুড় লুকাইয়া রাখিতেন।
তাঁহার পাটশাক রান্নার স্বাদ আজো বাতাসের জিহ্বায় লাগিয়া আছে। পাটকাঠিতে আগুন দিয়া শীত পোহাইতাম। আর আমার প্রথম প্রেমের কাহিনী পাটপত্রে লিখিত আছে। আমার দাদা পাটের ব্যবসা করিয়া প্রভূত উপার্জন করিয়াছিলেনÑএসব তোমার অজানা নহে। সকল কথা চিঠিতে লিখিলাম, মোবাইলে মানাইতো না। বন্ধুত্ব রাখিতে চাহিলে পাট চাষের পরিকল্পনা করিবে Ñ অন্যথায় Ñ
তোমার বন্ধু
রেজা
আপনার মতামত লিখুন :