দণ্ডপ্রাপ্তরা নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক বলে জানিয়েছে মিশরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এমইএনএ।
অভিযুক্তরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আদালতের রায় ঘোষণার সময় তিন অভিযুক্ত অনুপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনী ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের একমাত্র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ইসলামপন্থি বলে বিবেচিত লোকজনের ওপর দমনপীড়ন শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ও সমর্থকসহ কয়েকশত ইসলামপন্থিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
এরপর থেকে বহু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা বাহিনী ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে।
এই সময় থেকে মিশরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোও শুরু হয়। সিনাই উপদ্বীপের উত্তরাঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু করে। পাশাপাশি মসজিদ, গির্জাসহ বেসামরিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও প্রাণঘাতী আত্মঘাতী হামলা চালানো শুরু হয়।
২০১৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তা আল সিসি। চলতি ২৬-২৮ তারিখে আর একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামমাত্র বিরোধী দলকে পরাজিত করে তিনি ফের নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সিনাই উপদ্বীপের বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য সামরিক বাহিনীকে আদেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্র : বিডিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :