আক্তারুজ্জামান: অনেকদিন ধরেই সেই চিরচেনা বাংলাদেশকে দেখা যাচ্ছিল না। একটি জয়ই যেন খুজছিল পুরো টিম। দেশের মাঠ, বিদেশের মাঠ সব জায়গাতেই শুধু হার আর হার। দলের অধিনায়কের কথা মতো ‘ভালো খেলাটাই’ খেললো টাইগাররা। আর তার ফলাফলও পেলো লঙ্কানদের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে। তাও যেন তেন জয় নয়, একবারে রেকর্ড গড়ে জয়। গতকাল নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের দেওয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য ২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই ছুয়ে ফেলে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। রান তাড়া করার দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
নিদাহাস টি-২০ সিরিজে কলম্বোর প্রেমাদাসায় খেলা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। টস হেরেও লঙ্কান অধিনায়কের কণ্ঠে ম্যাচ জয়ের আভাস ছিল। তবে ম্যাচ শেষে টস হাতছাড়া হওয়ার মতো ম্যাচটাও হাতছাড়া হয় চান্দিমালের। দুই কুশলের জুটিতে যে লঙ্কানরা ডাবল সেঞ্চুরির স্কোর গড়ে নিজেদের নিরাপদ ভাবছিল সে স্কোর লাইনকে হাতের নাগালে এনে দেন তামিমের সঙ্গী হিসেবে ওপেনিং করতে নামা লিটন দাস। এদিন বোলাররা অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থ মূল্যায়ন করতে না পারলেও লিটন দাস দলনায়কের সিদ্ধান্তের সদ্ব্যবহার করেছেন। তামিমের সঙ্গে ৭৭ রানের জটি গড়ার পথে ১৯ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে রান করেন ৪৩।
তামিম বিদায় নিলে হঠাৎ করেই একটা চাপ দেখা যায় দর্শকদের মাছে। তবে সেরকম কোন চাপ দেখা যায়নি লাল-সবুজের দলের মাঝে। সৌম্য ও মুশফিক গড়েন ৫১ রানের জুটি। যা দলকে জয়ের বন্দরে নিতে সাহায্য করে। এরপর বাকি কাজটি সারেন দুই ‘ভায়রা ভাই’ মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ।
তামিম ও লিটন অর্ধশতকের দেখা না পেলেও ভুল করেননি মুশফিক। ২৪ বলেই তুলে নেন টি-২০ ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ৩৫ বলে অনবদ্য ৭২ রানে দল জয়ের বন্দরে তরী ভিড়ায়।
এর আগে লঙ্কান ইনিংসে টাইগার অধিনায়কের প্রতিদান দিতে পারেনি বোলাররা। ইনিংসের শুরুর ওভারেই তাসকিনের ১৩ রান। এরপর মুস্তাফিজ, তারপর রুবেল হোসেন। পাওয়ার প্লেতে রান আসাটা স্বাভাবিকই। তবে এই ধারাবাহিকতা পুরো ইনিংস জুড়েই ধরে রেখেছিলেন বোলাররা।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি বোলারদের ওপর আধিপত্য বজায় রেখে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৪ রান। লঙ্কানদের ইনিংসে ৪৮ বলে ৭৪ রান করেছেন কুশল পেরারা। ৩০ বলে ৫৭ রান তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। উপল থারাঙ্গা সংগ্রহ করেন ১৫ বলে ৩২ রান। টাইগারদের হয়ে বল হাতে ৩ ওভারে ৪০ রানে তাসকিন ১টি, ৪ ওভারে ৪৮ রানে মুস্তাফিজ ৩টি ও মাহমুদুল্লাহ ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :