শিরোনাম
◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০১৮, ০১:৪০ রাত
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০১৮, ০১:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসামান্য পাঠকনন্দিত’ বইয়ের পুরস্কার পেলো বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পুরস্কারটি শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন কথাসাহিত্যিক কাজী আনিস আহমেদ ও আনিসুল হক‘অসামান্য পাঠকনন্দিত’ বই হিসেবে পুরস্কৃত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। শনিবার (১০ মার্চ) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ইউপিএল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পুরস্কারটি শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন কথাসাহিত্যিক কাজী আনিস আহমেদ ও আনিসুল হক।
অসামান্য পাঠকনন্দিত, পাঠকনন্দিত, বহুপ্রজ লেখক সম্মাননা, সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সহযোগী সম্মাননা ও পৃষ্ঠপোষক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে ৪০টি বই পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া, আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং মৃত্তিকাবিজ্ঞানী হিউ ব্রামার। এবারই প্রথম ইউপিএল এই উৎকর্ষ পুরস্কার ঘোষণা করে।
বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড ১৯৯১ সালে আমার প্রথম বই প্রকাশ করেছিল। গত ৪০ বছরে এই প্রকাশনাটি অনেক দূর এগিয়েছে। আজ এই প্রকাশনাটি একটি ইনস্টিটিউশনে রূপ নিয়েছে। আমার এতদিনের অভিজ্ঞতায় একটা কথা বলতে পারি, এই প্রকাশনাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তারা খুব ভালো এডিটর দিয়ে বই এডিট করায় এবং বইয়ের মান খুবই ভালো হয়। লেখকের টাকাও ফাঁকি দেয় না, র‌য়্যালিটি সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়। আমি এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মহিউদ্দীনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করি, প্রতিষ্ঠানটি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তদের কয়েকজনঅনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, অন্যতম সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, ইউপিএলের প্রতিষ্ঠাতা ইমেরিটাস প্রকাশক মহিউদ্দীন আহমেদ এবং পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন।
এর আগে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে ইউপিএলের সম্প্রতি গৃহীতে এডপ্ট-এ-লাইব্রেরি প্রোগ্রাম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এছাড়া, মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনার সঞ্চালনা করেন আইএলও-এর সাবেক পরামর্শক অর্থনীতিবিদ ড. রিজওয়ানুল ইসলাম। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শায়ের গফুর, অধ্যাপক সৌরভ সিকদার, কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী এবং লেখক ফিরোজ আহমেদ। আলোচকরা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে বিভাজন কমিয়ে আনার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘ইউপিএল বর্তমানে ইমেরিটাস প্রকাশনার পর্যায়ে চলে গেছে। ৪০ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে গুণগত মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করে যাচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে এই প্রকাশনাটি মানের দিকে খেয়াল রেখেই বই প্রকাশ করবে এবং তরুণ লেখকদের উৎসাহ দেবে।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি সবার পক্ষ থেকে মহিউদ্দীনকে ধন্যবাদ দিতে চাই, কারণ তিনি এই প্রকাশনাটি না প্রতিষ্ঠা করলে অনেক লেখক হয়ত বই লেখার আগ্রহই হারিয়ে ফেলতেন। কারণ, দেশে এখনও অনেক প্রকাশক আছেন, যারা সব বই প্রকাশ করতে চান না। তিনি শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন, আজ একে একে চল্লিশ বছরে পা দিয়েছেন। দোয়া করি প্রকাশনাটি আরও অনেক বড় হবে।’
ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘ইউপিএলের প্রকাশক মহিউদ্দীন প্রকাশনা শিল্পে একটি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রকাশক। একটি কথা না বললেই নয়, বই লেখায় লেখকের কৃতিত্ব যেমন, প্রকাশকের কৃতিত্বও কম নয়। এই প্রকাশনা থেকে আমার লেখা পরার্থপরতার অর্থনীতি বইটি আজ পাঠকনন্দিত বই হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে; এতে আমি গর্ব করছি।’
অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে আগের তুলনায় এখন প্রচুর বই প্রকাশিত হচ্ছে। এর একটি বড় জোয়ার তৈরি করেছে একুশে বইমেলা, এতে অনেক আনন্দও হয়। কিন্তু এত সব বইয়ের ভিড়ে গুণমানহীন বইও প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক প্রকাশনা আছে, যারা বই প্রকাশে কোনও বাছবিচার করে না। ইউপিএল মানের ব্যপারে কোনও ছাড় দেয়নি, এটা নিঃসন্দেহে বলতে পারি।’
সমাপনী বক্তব্যে ইউপিএলের পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সৃষ্টিতে অবদানের জন্য ইউপিএলের সব লেখক, সহযোগী, সুহৃদ ও পৃষ্ঠপোষকদের সম্মান জানানোই ছিল এই পুরস্কার দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ এই প্রতিষ্ঠান যেন আরও অনেক বড় হয়, এজন্য উপস্থিত সবার কাছে তিনি দোয়া চান।বাংলাট্রিবিউন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়