আনন্দ মোস্তফা: ১৯৪০’র দশকের অনিন্দ্যসুন্দরী অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত হলিউড অভিনেত্রী হেডি লামারকে বলা হতো ‘বিশ্বের সব থেকে সুন্দরী’। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত না হলেও লামারের ভুবন ভোলানো সৌন্দর্যে মোহিত ছিল পুরো বিশ্ব। তবে অপরূপ রূপ আর চলচ্চিত্রের নায়িকা পরিচয়ের পেছনে চাপা পড়ে যায় লাস্যময়ী লামারের ‘বৈজ্ঞানিক’ পরিচয়টি।
রেডিও গাইডেন্স সিস্টেম, ব্লু-টুথ এর মতো প্রযুক্তির আবিস্কারক লামারের এই পরিচয়টি এতো বছর গোপনই ছিল। সম্প্রতি হেডি লামারের জীবনী নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘বম্বশেল’ এ উঠে আসে অসাধারণ প্রতিভাধর এই অভিনেত্রীর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কাহিনী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান টর্পেডোকে পরাস্থ করতে যখন ধুঁকছিল মিত্র বাহিনী তখন গীতিকার জর্জ এন্থেইলকে নিয়ে লামার আবিস্কার করেছিলেন এক রেডিও গাইডেন্স সিস্টেম। যা প্রতিপক্ষের টর্পেডো সহজেই চিহ্নিত করতে সক্ষম এবং ফ্রিকোয়েন্সি জ্যাম করে টর্পেডো হামলা নস্যাৎ করতে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলো। তার এই আবিস্কার এখন আরো আধুনিকায়নের মাধ্যমে ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়াও লামার বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় প্রযুক্তি ‘ওয়াই ফাই’ এর আদি সংস্করণ ‘ব্লু-টুথ’ আবিস্কারেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন লামার।
১৯৯৭ সালে এই ‘বিউটি উইথ ব্রেইন’ কে ‘ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন পাইওনিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করা হয় এবং ২০১৪ সালে লামারের নাম ‘ন্যাশনাল ইনভেন্টর্স হল অফ ফেম’ এ যুক্ত করা হয়। দ্য গার্ডিয়ান
আপনার মতামত লিখুন :