শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১০ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ কারণে ঢাকার ট্যাক্সি ক্যাব সেবার গতি কমছে

রিকু আমির : ভাড়ায় বৈষম্য, পার্কিংয়ের জায়গা না থাকা, বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ঢাকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া এবং অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস চালু হওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢাকায় ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ঢাকা মহানগর ট্যাক্সিক্যাব (লিজ) মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক বলেন, বিভিন্ন সমস্যা থেকে মালিকরা লোকসান গুণছেন।

বিআরটিএ ও ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জানা গেছে, ২০০২ সালের শেষের দিকে ট্যাক্সিক্যাব চালু হয় ঢাকায়। প্রথম অবস্থায় কালো ও হলুদ রঙের ১১ হাজার ২৬০টি ট্যক্সিক্যাব নামানো হয়। পরবর্তীতে আরও ৬ হাজারের মতো ট্যাক্সিক্যাব নামানোর কথা ছিল। সে সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করে এতে। কিন্তু পরবর্তীতে নানা কারণে সার্ভিসটি পিছিয়ে পড়ে।

২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে তমা কনস্ট্রাকশন ও ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস নামের দু’টি কোম্পানিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্যাক্সিক্যাব নামানোর অনুমতি দেয় সরকার। বর্তমানে রাজধানীতে তমা সার্ভিসের ২৫০টি এবং ট্রাস্টের ১৭৫টি ট্যাক্সি চলছে। ট্রাস্টের ১৭৫টি ট্যাক্সির মধ্যে প্রথমে ঢাকায় ১০০টি ও চট্টগ্রামে ৫০টি চালু করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকায় আরও ২৫টি এবং চট্টগ্রামের ৫০টি ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

এসব ট্যাক্সিক্যাবে প্রথম দুই কিলোমিটারের জন্য ৮৫ টাকা, পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৩৪ টাকা, প্রতি দুই মিনিট অপেক্ষমাণ সময়ের (যানজট, যাত্রাবিরতি ও সংকেত) জন্য সাড়ে আট টাকা, ফোনে ট্যাক্সিক্যাব বুকিং দিলে বাড়তি ২০ টাকা হিসেবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ট্যাক্সিক্যাব যেখান থেকে যাত্রা শুরু করে সেখান থেকেই মিটার চালু করা হয়। ফলে যাত্রী ওঠার আগেই মিটারে অনেক টাকা ভাড়া ওঠায় সার্ভিসটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন যাত্রীরা।

সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, ২০০২ সালে চালু হওয়া ট্যাক্সিক্যাবগুলো ১৯৯৮ সালের তৈরি নীতিমালা অনুযায়ী চলতো। ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেষ হয় সেসবের মেয়াদ। ২০১০ সালে ‘ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইড লাইন-২০১০ নামে আরও একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু আমাদের মতামত না নিয়েই নীতিমালাটি তৈরি করা হয়। এটি বাস্তবভিত্তিক হয়নি বলে বর্তমানে বড় ধরণের সমস্যা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

ট্রাস্ট সার্ভিসের ট্যাক্সিচালক আবদুর রহিম বলেন, ট্রাস্ট সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এর উপর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি একটু উপরে। এজন্য হয়তো টিকে আছি। তবে উবার আসার পর ট্রিপ কমে গেছে। যাত্রী যতটা সহজে উবার পাচ্ছে, ততটা সহজে ট্যাক্সি পাবার সিস্টেম নেই।

পারিশ্রমিক সময় মতন পেলেও কোম্পানির অবস্থা নি¤œমূখী উল্লেখ করে এই চালক বলেন, উবারে যে পুরাতন মডেলের গাড়িগুলো আছে, সেসবের চেয়ে আমাদের ভাড়া বেশি। তবে আমরা যে মডেলের গাড়ি চালাই, সে মডেলের গাড়ি ভাড়া প্রায় উবারের মতন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে ট্যাক্সিক্যাব সেবা দেখভালকারী বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং-১) শফিকুজ্জামান ভুঁইয়াও কথা বলতে রাজি নন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়