রাশিদ রিয়াজ : মিসরের মধ্যস্ততায় কায়রোতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। আমিরাতের দৈনিক খালিজ টাইমস এ খবর দিয়ে বলছে, গত সপ্তাহে এধরনের গোপন বৈঠক প্রমাণ করছে যে রিয়াদ ও তেলআবিবের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হচ্ছে। তবে দেশ দুটির মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং প্রকাশ্যে রিয়াদ এধরনের কোনো সম্পর্কের কথা স্বীকার করে না। সম্প্রতি সৌদি আকাশ হয়ে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি হয়। খালিজ টাইমস’এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে তেলআবিব ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কন্নোয়ন ধীর গতির হলেও কায়রোর বৈঠকগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
কায়রোর একটি বিলাসবহুল হোটেলে সৌদি ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বৈঠকগুলোতে মিলিত হন। মিসরের কর্মকর্তারাও এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েল, মিসর ও সৌদি আরবের অভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থ ও বিনিয়োগ, বিশেষ করে লোহিত সাগর অঞ্চলের বাণিজ্য নিয়ে এসব বৈঠকে আলোচনা হয়।
তবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে এধরনের বৈঠক তাদের স্বার্থকে বিঘিœত করছে। এধরনের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের যে ক্ষতি করছে তাতে বন্ধুত্বের প্রলেপ দিয়ে এমন ধারণার সৃষ্টি করা হচ্ছে যে এ অঞ্চলে ইসরায়েল আর কোনো শত্রু দেশ নয়।
এর আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছিলেন রিয়াদ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে একটি রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ইতিমধ্যে সৌদি তরফ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি ফর্মূলা মেনে নেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে যা প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট আব্বাস তাকে ‘শতাব্দীর চড়’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া ইসরায়েলি টেলিভিশন আইটুয়েন্টিফোর নিউজকে মাহমুদ আব্বাস বলেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স তাকে ট্রাম্প শান্তি ফর্মূলা মেনে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :